কালিয়াগঞ্জ : মা-সহ দুই সন্তানের একসঙ্গে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। শুক্রবার মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শঙ্করপুর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত মহিলার নাম ময়না বর্মন (২৫), মেয়ের নাম মৌমিতা বর্মন। তাঁর বয় ৫। ছেলে মিলন বর্মন। বয়স ৪ বছর। এদিন তিন জনের নিথর দেহ তাঁদের নিজেদের ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।
মৃত মহিলার বাপের পরিবারের সদস্যদের জানাচ্ছেন আট বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ময়না দেবীর। কিন্তু, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর উপর লাগাতার অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ। অশান্তির জেরে বেশ কয়েকবার শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িও চলে এসেছিলেন তিনি। অশান্তি মেটাতে বসে সালিশি সভাও। কিন্তু, তারপরেও মেটেনি সমস্যা। এমনটাই দাবি তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যদের। দুই সন্তাকে নিয়ে শ্বশুর গোপাল বর্মণ ও শাশুড়ি শ্যমলী বর্মণের সঙ্গে থাকতেন ময়না দেবী। বাড়িতে আছেন তাঁর দুই ননদও। কাজের সূত্রে স্বামী শশী মোহন বর্মণ দিল্লিতে থাকেন।
মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যদের আরও অভিযোগ দুই ননদ-সহ শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে অত্যাচার চালাতো তাঁদের মেয়ের উপর। তবে এটা খুনের ঘটনা নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে তাঁদের মনে সংশয় রয়েছে। সে কারণেই তাকিয়ে রয়েছেন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকে। ইতিমধ্যেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শ্বশুর ও শাশুড়িকে কালিয়াগঞ্জ থানায় নিয়ে গিয়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার দিবি সুজিতা বর্মন বলেন, “সকালে ঘটনার কথা প্রথম জানতে পারি। তখনই আমার বোনের স্বামীকে ফোন করি। ও নিশ্চিত করে ঘটনা। ওদের বাড়িতে প্রায়ই অশান্তি হত। ওর ননদেরাও মারধর করত। এখন কী করে মৃত্যু হল বুঝতে পারছি না।”