উত্তর দিনাজপুর: বাড়িতে ঢুকে বোমাবাজি, গুলি। অভিযোগ, তাতেই মৃত্যু হয়েছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। ইসলামপুর (Islampur) থানা এলাকার দক্ষিণ মাটিকুণ্ডা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম সাকিব আখতার। ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুণ্ডা-১ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল। অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধেও। এই ঘটনার পরই সরব হন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা ইসলামপুরের পুরপ্রধান কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। বিহিত না হলে বিধায়ক পদ ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দেন। যদিও এ নিয়ে এখনও কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বা স্থানীয় প্রধানের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তা পাওয়া গেলেই যুক্ত করা হবে এই প্রতিবেদনে।
অভিযোগ, বুধবার মাঝরাতে সাকিবের বাড়িতে যান প্রধান ও তাঁর দলবল। প্রথমে বাড়িতে বোমা মারা হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, শোনা যায় গুলির শব্দও। এরইমধ্যে বোমার আঘাতে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন বলে পরিবারের দাবি। তাঁকে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে সাকিবের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। পাশাপাশি ইসলামপুরের পুলিশসুপারের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান। বলেন, “এসপি আমাকে সমঝোতার কথা বলছে। আমি বললাম আমি পদত্যাগের কাগজ পাঠিয়ে দিচ্ছি। এতটা অসহায় পুলিশ? কী হবে ওনার বড় জোর ট্রান্সফার হবে। তৃণমূলের জেলা প্রেসিডেন্টের কথা থাকবে, তৃণমূলের বিধায়কের কি কোনও দাম নেই? আমি ১১ বারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। মানুষ আমাকে ১১ বার ভোট দিয়ে জিতিয়ে এনেছেন। এসপি আমাকে সমঝোতার কথা বলছেন? ”
এরপরই বিধায়ক বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনার বিহিত করতে হবে। তৃণমূল সুপ্রিমোর হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি। আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, ” আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব, ২ দিনের মধ্যে যদি আপনি ব্যবস্থা না নেন কানাইয়ার বিরুদ্ধে তাহলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেব। আমি নির্দল হয়ে আপনার প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়ব। আমার চ্যালেঞ্জ থাকল। মানুষ সরালে সরে যাব। আমি আজকের নই।”