ইসলামপুর: তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর (Gun Fire) অভিযোগ। ইসলামপুরের (Islampur) সিভিক ভলেন্টিয়ার খুনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল উত্তর দিনাজপুরে। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার কোটগছ এলাকা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাস্তার পাশে উদ্ধার হন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জখম ওই তৃণমূল নেতার নাম জাকির হোসেইন। পেশায় স্কুল শিক্ষক হওয়ায় ‘জাকির মাস্টার’ বলেই পরিচিত এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চোপড়ার কোটগছ এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে একটি বিয়ে বাড়ির সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় জাকিরকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, জাকিরের মাথায় হেলমেট ছিল। তাই মুখ ভাল করে বোঝা যায়নি। রাস্তার ধারে পড়ে কাতরাচ্ছিলেন তিনি। বিয়ে বাড়িতে আসা অতিথিরাই প্রথমে তাঁকে দেখেন। প্রথমে তাঁকে মদ্যপ ভাবলেও পরে কাছে যেতেই দেখেন রক্ত ঝরছে এলাকা থেকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর দেন তাঁরা। এলাকাবাসীরা গিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপরই তাঁকে শিলিগুড়ি স্থানান্তরিত করা হয়।
খবর পেয়ে হাসপাতালে যান প্রাক্তন যুব তৃণমুল সভাপতি কৌশিক গুন। তিনি অবশ্য এই ঘটনায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা রাজনৈতিক কারণে এই ঘটনা কিনা, তা স্পষ্ট নয়। এই গুলি কে বা কারা চালাল, এলাকায় জাকিরের সঙ্গে কার শত্রুতা রয়েছে। কী কারণ থাকতে পারে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গোয়ালপোখর থানার অদূরেই তৃণমূল সদস্যের ভাইপোর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার, বুধবার রাতে ইসলামপুরে দক্ষিণ মাটিকুন্ডায় তৃণমূল নেতার ছোট ভাই সিভিক ভলেন্টিয়ারের মৃত্যুর পর আবারও বৃহস্পতিবার রাতে চোপড়ায় এভাবে তৃণমূল নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। তদন্তে চোপড়া থানা ও ইসলামপুর পুলিশ। তবে এলাকায় বারবার গুলিচালনার ঘটনায় পুলিশি ভূমিকা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।