রায়গঞ্জ: ইসলামপুরের পর এবারে রায়গঞ্জেও নাইরোবি ফ্লাই বা অ্যাসিড পোকার আক্রমণের শিকার বেশ কয়েকজন। শহরের এক শিক্ষক ও চিকিৎসকের স্ত্রী আক্রান্ত। আক্রান্ত বেশ কয়েকজন শিশুও। ক্রমেই বাড়ছে আতঙ্ক। সরকারি উদ্যোগে পোকার চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য জেনে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে চিকিৎসকরা। বর্ষাকালে মূলত পাহাড়ি অঞ্চলে বর্ষাকালে এই পোকা দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইসলামপুরের রামগঞ্জে এক পুলিশকর্মী সম্প্রতি নাইরোবি ফ্লাই বা অ্যাসিড পোকার আক্রমণের শিকার হন। এরপর রামগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ও হাসপাতাল এলাকায় কীটনাশক স্প্রে করেন স্থানীয়রা।
এ দিকে রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন এক শিক্ষক। সৌরভ গুহ নামে ওই ব্যক্তি তাঁর ডানদিকে ঘাড়ে অসহ্য যন্ত্রণা ও শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করছেন বলে জানান। অন্যদিকে তুলসীতলা এলাকায় এক চিকিৎসকের স্ত্রীও আক্রান্ত হয়েছেন। আরও বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে স্থানীয় সূত্রে। যাদের মধ্যে শিশুও আছে। বর্তমানে প্রত্যেকেই চিকিৎসাধীন।
জানা যাচ্ছে, এই পোকা মূলত উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের ঘন জঙ্গল থেকেই লোকালয়ে উড়ে আসছে। আর সে কারণে এখনও উত্তরেই এই পোকার আক্রমণ সীমাবদ্ধ আছে। চিকিৎসকদের দাবি, খুব দ্রুত সরকারের উদ্যোগে বন দফতর, স্বাস্থ্য দফতর, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নিয়ে বিশেষ টিম গঠন করে এই পোকার চরিত্র গত বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করতে হবে। কেমিক্যাল অ্যানালিসিস করাও খুব জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসক জয়ন্ত ভট্টাচার্য। এতে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে বলেই দাবী করছেন চিকিৎসকেরা। তবে এই অ্যাসিড পোকার আক্রমণ দিনে দিনে ক্রমশই বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্ক বাড়ছে জন সমাজে।