উত্তর দিনাজপুর: প্রথমে সভাস্থল ছিল কালিয়াগঞ্জ। কিন্তু রাতারাতি তা বদলে হয় রায়গঞ্জ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) সভাস্থল বদল ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির খোঁচা, আসলে রায়গঞ্জে দলের ভাঙনের ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, শক্তি বাড়াচ্ছে পদ্ম শিবিরও। তাই সাত পাঁচ ভেবেই সভাস্থল বদল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের অবশ্য পাল্টা বক্তব্য, কর্মী সমর্থকদের সভাস্থলে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে যোগাযোগের সুবিধার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। তবে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারি উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের চান্দৈল হাট ময়দানে দুই দিনাজপুরের দলীয় কর্মীদের নিয়ে কর্মীসভা করার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু হঠাৎই গত শনিবার রাতারাতি স্থান পরিবর্তনের নির্দেশ আসে। আর তারপরই রবিবার সকাল থেকে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি শুরু হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সভাস্থল বদল শুধুমাত্র দলীয় কর্মীদের দলে আটকে রাখার চেষ্টা বলে দাবি করে জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, কালিয়াগঞ্জে তৃনমূলের কোনও কর্মী সমর্থক নেই। গোটা কালিয়াগঞ্জে এখন বিজেপি শক্তিশালী। আর এরমধ্যেই রায়গঞ্জ পৌরসভার বেশকিছু কাউন্সিলরদের আটকাতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সভাস্থল বদল।
বিজেপির এই দাবিকে নস্যাৎ করে তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, দুই দিনাজপুরের মাঝামাঝিতেই এই কর্মিসভা করার নির্দেশ ছিল। কিন্তু পরে সভাস্থল রাজ্য নেতৃত্বের তরফে রায়গঞ্জে করার নির্দেশ আসে। সেই অনুযায়ীই রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে সভা হচ্ছে। আর সেখানে মানুষের উপস্থিতিই সব প্রমাণ করবে।
আরও পড়ুন: দেব কি বিজেপিতে যাচ্ছেন? নেতার মামাবাড়ি থেকেই ফাঁস আসল খবর
রবিবার অবশ্য সভাস্থল বদল নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বলে, কালিয়াগঞ্জের যে মাঠে সভা হওয়ার কথা ছিল, সেটি লোকালয় থেকে দূরে, একটি গ্রামের মধ্যে। যাতায়াতের অসুবিধা রয়েছে। মুখ্য়মন্ত্রীর এই সভায় দুই দিনাজপুর, চোপড়া থেকে লোক আসবে। সেক্ষেত্রে সভাস্থলে পৌঁছতে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হবে। সে কথা মাথায় রেখেই রায়গঞ্জে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চতর নেতৃত্ব।