উত্তর দিনাজপুর: “পুলিশকে গুলি চালিয়ে অপরাধ করেছে, তাই পুলিশ গুলি চালিয়েছে ঠিক করেছে।” বললেন পুলিশের গুলিতে নিহত সাজ্জাকের পরিবার। করনদিঘির ছোট শহরের বাসিন্দা সাজ্জাকের স্ত্রী আফরোজা খাতুনের দাবি, সাজ্জাক জেলেই। গত ৪- ৫ বছর ধরে তার সঙ্গে আর দেখা হয়নি তাঁর। তিনি পুলিশ মারফৎ জানতে পেরেছেন, পুলিশকে গুলি করে পালিয়েছিল সাজ্জাক। আর সে কারণেই পুলিশ এনকাউন্টার করেছে। সেকথাও পুলিশের কাছ থেকেই জানতে পেরেছেন তিনি।
অন্যদিকে সাজ্জাকের বোনের স্বামীও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, “পুলিশকে গুলি করে অপরাধ করেছে। আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছিল ও। তাই পুলিশ গুলি করে ঠিক করেছে বলেই মনে করি।”
রবিবার দুপুরে রায়গঞ্জ মেডিক্যালের পুলিশ মর্গে সাজ্জাকের মৃতদেহের ময়না তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ঘটনাস্থলে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। সেখানেই আসেন সাজ্জাকের স্ত্রী সহ পরিজনেরা। মৃতদেহের ময়না তদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার আদালত থেকে তাঁকে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই পুলিশকর্মীকে গুলি করে পালিয়েছিল একটি খুনের মামলায় বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক। বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময়েও শনিবার সকালে গুলি চালিয়েছিল সাজ্জাক আলম। বাধ্য হয়ে পুলিশকেও গুলি চালাতে হয়। তাতে মৃত্যু হয় সাজ্জাকের।