আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ছেলে সহ ‘অপহৃত’ স্ত্রী! পুলিশের কাছে ছুটলেন স্বামী, তারপর…
Kidnapping: আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে হঠাৎই উধাও হয়ে যান স্ত্রী! খোঁজ পাওয়া যায়নি ছোট্ট ছেলেটিরও। খবর পেয়ে কার্যত মাথায় বাজ পড়েছিল প্রভাতের। ছোটেন পুলিশের কাছে।
উত্তর দিনাজপুর: পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক প্রভাত বর্মন। রায়গঞ্জ ব্লকের পাঁচভায়া গ্রামের বাসিন্দা প্রভাতের স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে সুখের সংসার। কিন্তু আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে হঠাৎই উধাও হয়ে যান স্ত্রী! খোঁজ পাওয়া যায়নি ছোট্ট ছেলেটিরও। খবর পেয়ে কার্যত মাথায় বাজ পড়েছিল প্রভাতের। ছোটেন পুলিশের কাছে। শেষে অবশ্য খুঁজে পাওয়া গিয়েছে দু’ জনকেই। কিন্তু কীভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা? ধন্দে পুলিশও।
পুলিশের কাছে প্রভাত বর্মন জানান, তাঁর স্ত্রী গত ২৫ জুলাই ছোট ছেলেকে নিয়ে সোহারই মোড় এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। স্ত্রীয়ের কাছে বেশ কিছু টাকা-পয়সাও ছিল। কিন্তু আত্মীয় বাড়ি থেকে আচমকা স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে যান বলে অভিযোগ।
এরপর তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ শুরু করে পুলিশ। অবশেষে শুক্রবার রাতে পুলিশ শ্যামপুর মোড়ে একটি বাড়ি থেকে অক্ষত অবস্থাতেই তাঁকে উদ্ধার করে। কারা নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁকে? ওই গৃহবধূর দাবি, তাঁকে অপহরণ করে একটা বাড়িতে রাখা হয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই এলাকা থেকে জনৈক বিশ্বজিৎকে নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় অপহরণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শনিবার ধৃতকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হয়। এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরকীয়ার কারণে নিজে থেকেও হয়ত চলে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। ধৃতের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় ছিল বলেই খবর। পরে হয়ত কোনও কারণে তার কাছ থেকে স্বামীর ঘরে ফিরে আসতে চান ওই মহিলা। বা অন্য কোনও রোষেও প্রভাতবাবুর স্ত্রী-পুত্রকে অপহরণ করা হতে পারে। এদিকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। ধৃতের কাছ থেকেও তেমন কোনও তথ্য উঠে আসেনি। যদিও স্বামী প্রভাত বর্মনের দাবি, তাঁর স্ত্রীকে অপহরণ করা হয়েছিল। তিনি ওই যুবককেও চেনেন না। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। আরও পড়ুন: স্বামী-সন্তান ছেড়ে ‘পরকীয়া’! ড্রাইভারকে বিয়ে করলেন বিজেপির চন্দনা, পরে বললেন, ‘বিরোধীদের কুৎসা’