TMC councillor: কেন ওই সময়টাই বেছে নেওয়া হল? সন্ধ্যায় কী করেন, কোথায় যান সুশান্ত, সবটাই কি ‘রেইকি’ করে জানা ছিল হামলাকারীদের!
TMC councillor: সুশান্ত ঘোষকে ফোন করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "আমি পাশে আছি। নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমঝোতা হবে না। পুলিশকে বলা হয়েছে, দ্রুত মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে।"
কলকাতা: শুক্রবার ভরসন্ধ্যায় যে ঘটনা ঘটেছে, তারপরই নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষের। সুশান্ত ঘোষ এতদিন কলকাতা পুলিশের তরফে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী পেতেন। শুক্রবার যেভাবে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা হয়েছে, তারপর আরও দু’জন বৃদ্ধি করা হয়েছে। সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সুশান্ত ঘোষের ওপর যেভাবে হামলা চলেছে, তাতে প্রশ্ন ওঠে, এই ঘটনা কি পরিকল্পিত? আগে থেকেই কি পুরোটা জানতেন দুষ্কৃতীরা?
জানা যাচ্ছে, সুশান্ত ঘোষের দু’জন রক্ষী ছিলেন। একজনের শুক্রবার ‘অফ ডে ‘ছিল। দ্বিতীয় জন অন্যান্য দিনের মতোই সাতটার সময় সুশান্ত ঘোষের কাছ থেকে ছুটি পেয়ে চলে যান। প্রতিদিন সুশান্ত ঘোষ কাজ না থাকলে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের ছুটি দিয়ে দেন। এরপর নিজের বাড়ির সামনে এসে বসেন। তাঁর বাড়ির নীচে ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। সেখানে অনেক বিশিষ্টজনরা সন্ধ্যেবেলায় আসেন। সুশান্ত ঘোষ সেখানে বসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন, এলাকার ছেলেদের সঙ্গেও দেখা করেন। সেই সময় নিজের নিরাপত্তারক্ষী রাখেন না।
শুক্রবারই সেই রুটিন মেনেই সান্ধ্য আড্ডায় নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই বসেছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই অনুমান করা হচ্ছে, গোটা বিষয়টি রেইকি করে জেনেই করেছেন আততায়ীরা। পুলিশের অনুমান, যারা গুলি করতে গিসেছিল, তারা ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ওই রাস্তা দিয়ে গিয়েছে। তখন সুশান্ত ঘোষ একা বসে ছিল। এরপর যখন মারতে আসে তখন সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে আরও দু’জন বসেছিল। সেই কারণে ওই আততায়ী ঘাবড়ে গিয়েই কি গুলি চালাতে পারেনি?
এই খবরটিও পড়ুন
উল্লেখ্য, সুশান্ত ঘোষকে ফোন করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আমি পাশে আছি। নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমঝোতা হবে না। পুলিশকে বলা হয়েছে, দ্রুত মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে।” কসবার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সুশান্ত ঘোষ কথা বলেছেন অভিষেকের সঙ্গে।