AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Supreme Court: ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত স্কুল ‘ছুটি’! সুপ্রিম কোর্টে দায়ের মামলা

Supreme Court on Air Pollution: এজলাসে সরকার পক্ষের হয়ে উপস্থিত অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি বলেন, 'শিশুদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সকালে যখন স্কুলে যাওয়ার ভিড় থাকে, সেই যানজটও অতিরিক্ত হয়ে যায়। যার জেরে দূষণ আরও বাড়তে থাকে। এছাড়াও তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকটাও ভাবা প্রয়োজন। তাই এই স্থগিতাদেশ যুক্তিযুক্ত।'

Supreme Court: ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত স্কুল 'ছুটি'! সুপ্রিম কোর্টে দায়ের মামলা
দেশের শীর্ষ আদালতImage Credit: Getty Image
| Updated on: Dec 18, 2025 | 8:51 PM
Share

নয়াদিল্লি: বাইরে তীব্র দূষণ, এই সময় স্কুল যাওয়া কি সম্ভব? বিশেষ করে ছোটদের ক্ষেত্রে। সম্প্রতি এই মর্মেই একটি পদক্ষেপ করে দিল্লি সরকার। ১৫ ডিসেম্বর থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস স্থগিত করে দেওয়া হয়। বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও স্কুল চাইলে অনলাইনে ক্লাস নিতে পারে, কিন্তু দূষণকে মাথায় রেখে আপাতত ক্লাসে ছোটদের শারীরিক উপস্থিতি বাধ্যতামূলক নয়।

এরপর দিল্লি সরকারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতে দায়ের হয় একের পর এক মামলা। বুধবার সেই মর্মেই শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি বিপুল পাঞ্চোলির বেঞ্চে। এদিন মামলাকারীদের হয়ে উপস্থিত আইনজীবী মেনকা গুরুস্বামীর যুক্তি, ক্লাস স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত সরকারি স্কুলে পাঠরত গরিব ঘরের ছেলেমেয়েদের উপর প্রভাব ফেলবে। এদের অনেকেই স্কুলের মিড-ডে মিলের উপর নির্ভর করে থাকেন। আচমকাই এমন স্কুলের ক্লাস স্থগিত করে দিলে, এদের এক বেলার খাওয়াটাও প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে।

প্রতিটি যুক্তি শোনার পর প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বিশেষজ্ঞরা এই তীব্র দূষণ থেকে ছোট ছেলেমেয়েদের রক্ষার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটির উপর হঠাৎ করেই কোনও নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট চাপিয়ে দিতে পারে না। সামনেই শীতের ছুটি, তাই তার আগে মাত্র কয়েকদিনই বাড়তি ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে। এই সময় এজলাসে উপস্থিত সিদ্ধার্থ লুথ্রা নামে আরও এক আইনজীবী বলেন, ‘যাদের সামর্থ্য রয়েছে, এই ছুটি যেন তাঁদের জন্য। কারণ, যাদের কোনও ডিজিটাল ডিভাইস কেনার সামর্থ্য নেই, তাঁদের সন্তানরা কীভাবে অনলাইনে ক্লাস করবেন?’

এজলাসে সরকার পক্ষের হয়ে উপস্থিত অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি বলেন, ‘শিশুদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সকালে যখন স্কুলে যাওয়ার ভিড় থাকে, সেই যানজটও অতিরিক্ত হয়ে যায়। যার জেরে দূষণ আরও বাড়তে থাকে। এছাড়াও তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকটাও ভাবা প্রয়োজন। তাই এই স্থগিতাদেশ যুক্তিযুক্ত।’ যদিও এর উত্তরে মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা গাড়িতে নয়, হেঁটে স্কুল যাতায়াত করেন।’ যদিও দিনশেষে এই মামলার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করেছে তাঁরা।