Purulia School: এটা নাকি মেয়েদের স্কুলের বারান্দা, ছড়ানো সারি সারি মদের বোতল, ক্লাসরুম এখন গরু-ছাগলের আস্তানা

Purulia School: ২০১৩ সালে গ্রামের তিনজন সহৃদয় ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ ডেসিমেল জমি নেওয়া হয়। সেই জমিতে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ২০১৬-১৭ সালে স্কুলের ভবন নির্মাণ করা হয়। নাম দেওয়া হয় ডিমডিহা গার্লস জুনিয়র হাইস্কুল।

Purulia School: এটা নাকি মেয়েদের স্কুলের বারান্দা, ছড়ানো সারি সারি মদের বোতল, ক্লাসরুম এখন গরু-ছাগলের আস্তানা
স্কুলে ভর্তি মদের বোতলImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2024 | 9:15 AM

পুরুলিয়া: গ্রামের মেয়েরা শিক্ষিত হবে, এই ভেবেই স্কুলের জন্য জমিদান করেছিলেন গ্রামবাসীরা। স্কুলের ভবনও তৈরি হয় সেই জমির ওপর। আলাদা আলাদা ক্লাসরুম, দেওয়ালে ব্ল্যাকবোর্ড, সবই আছে। কিন্তু ছাত্রী? শিক্ষক-শিক্ষিকা কই? বারান্দার চেহারা দেখে তো বোঝার উপায় নেই স্কুল নাকি মদের ঠেক? বছরের পর বছর এভাবেই পড়ে রয়েছে আস্ত স্কুল। হতাশ গ্রামবাসীরা।

পুরুলিয়ার জয়পুর থানার ডিমডিহা গ্রাম। রাস্তার ধারে দ্বিতল ভবন‌। এলাকার মেয়েদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল এই জুনিয়র গার্লস হাই স্কুল। চালুও হয়েছিল সেই স্কুল। কিন্তু গ্রামবাসীদের দাবি, শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। এখন সন্ধ্যে নামলেই হাতে বোতল নিয়ে আসর বসায় এলাকার ছেলেরা। স্কুলের প্রত্যেকটা ঘরে গেলেই দেখতে পাওয়া যাবে সেই ছবি। বিভিন্ন মদের বোতল আর মদের গ্লাস। বিভিন্ন এলাকা থেকে নাকি মদের নেশায় ছুটে যান যুবকরা।

২০১৩ সালে গ্রামের তিনজন সহৃদয় ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ ডেসিমেল জমি নেওয়া হয়। সেই জমিতে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ২০১৬-১৭ সালে স্কুলের ভবন নির্মাণ করা হয়। নাম দেওয়া হয় ডিমডিহা গার্লস জুনিয়র হাইস্কুল। তারপরেও ২০২১-২২ সালে আরও ৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করে টয়লেট ও ডিপ টিউবেল বসানো হয়। গ্রামবাসীদের বক্তব্য একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে এই স্কুলের জন্য নিয়োগ করা হলেও তিনি কোনওদিন এই স্কুলে পা দেননি। ফলে স্কুল ভবন চলে গিয়েছে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের দখলে। দিনের বেলায় এলাকার গরু-ছাগলের আস্তানা হয়ে উঠেছে সেই স্কুল। অথচ যাদের জন্য এই স্কুল তৈরি করা হয়েছিল তারা গ্রাম থেকে বহু দূরের স্কুলে যাচ্ছে পড়াশোনা করতে।

এদিকে, জেলা শিক্ষা দফতরের কাছে এই স্কুল নিয়ে কোনও তথ্য নেই। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মহুয়া বসাক বলেন, ‘আমি গত কয়েকদিন আগে দায়িত্ব নিয়েছি। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। পরে জানাব।’