Raiganj Hospital: এমার্জেন্সি বিভাগের সামনে কাতরাচ্ছেন রোগীরা, শুধু ট্রলির অভাবেই হচ্ছে না ভর্তি!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Sep 29, 2021 | 8:16 PM

Hospital: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি ট্রলি রয়েছে। তবে তা স্টোরে। নিয়ে আসার লোক পাওয়া যাচ্ছে না! আবার যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা ট্রলি ব্যবহার হচ্ছে ট্রোর থেকে সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার কাজে। অথচ, রোগীরা প্রয়োজনে সেগুলো ব্যবহার করতে পারছেন না।

Raiganj Hospital: এমার্জেন্সি বিভাগের সামনে কাতরাচ্ছেন রোগীরা, শুধু ট্রলির অভাবেই হচ্ছে না ভর্তি!
হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে অ্যাম্বুল্যান্স। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

উত্তর দিনাজপুর: হাসপাতালের এমার্জেন্সি (Emergency) বিভাগের সামনেই দাঁড়িয়ে অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance)। সেখানে শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন রোগী। কিন্তু শুধুমাত্র একটি ট্রলির অভাবে তাঁকে এমার্জেন্সি বিভাগের ভেতরে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না! কয়েক ঘণ্টা ওই ভাবেই পড়ে থাকলেন রোগী। রোগীর অসহায় অবস্থা দেখে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল পরিজনদের। শুরু হল বিক্ষোভ। বুধবার রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমন বেহাল চিত্র দেখে ক্ষুব্ধ অন্যান্য রোগী পরিজনও।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি ট্রলি রয়েছে। তবে তা স্টোরে। নিয়ে আসার লোক পাওয়া যাচ্ছে না! আবার যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা ট্রলি ব্যবহার হচ্ছে ট্রোর থেকে সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার কাজে। অথচ, রোগীরা প্রয়োজনে সেগুলো ব্যবহার করতে পারছেন না। সরকারি হাসপাতালে এমন পরিষেবার হাল দেখে ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়-স্বজন থেকে স্থানীয়রা। উঠছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়েও প্রশ্ন। ঠিক কী ঘটেছে?

বুধবার দুপুরে প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডের সামনে এক রোগী অপেক্ষা করছেন অ্যাম্বুল্যান্সে। তাঁর যন্ত্রণা দেখে তড়িঘড়ি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন রোগী পরিবারের লোকজন। কিন্তু শুধুমাত্র ট্রলির অভাবে অ্যাম্বুল্যান্সেই তাঁকে শুয়ে থাকতে হয় বলে অভিযোগ। আর সেটা অল্প কিছুক্ষণের জন্য নয়, কয়েক ঘণ্টা! এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভ ছড়িয়েছে জনমানসে। রোগীর পরিজনেরা জানান, কেউ কেউ প্রায় এক ঘণ্টা, আবার কেউ তারও বেশি সময় ধরে এমার্জেন্সি বিভাগের সামনে থাকলেও সেখানে ট্রলি না থাকায় রোগীদের এমার্জেন্সি বিভাগের ভেতরে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। টনক নড়েনি হাসপাতালেরও। যার ফলে মুমূর্ষু রোগীরা অ্যাম্বুল্যান্সের ভেতরে শুয়ে রয়েছেন দীর্ঘক্ষণ।

তবে এই হাসপাতালে যে প্রথমবার এই ঘটনা ঘটছে তাও নয়। বিভিন্ন সময়ে খারাপ পরিষেবা দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে। এক সঙ্গে বেশি রোগী এলে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমন ঘটনা নিত্যদিনের বলে দাবী প্রত্যক্ষদর্শীদের। অথচ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, স্টোরে মজুত আছে ট্রলি। কিন্তু তার পরেও রোগিরা কেন রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন পরিষেবা থেকে? উত্তর নেই। শুধু তাই-ই নয়, হাসপাতালের যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে ট্রলি। আবার স্টোর থেকে সেই ট্রলিতেই ওষুধ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সরঞ্জাম চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দশতলার সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ে। অথচ, রোগীরা প্রয়োজনে পাচ্ছেন না ট্রলি। কিন্তু কেন এই অব্যবস্থা?

এই প্রশ্নের উত্তরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী সুপার অভীক মাইতি অবশ্য দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। স্টোরে ট্রলি থাকলেও কেন রোগীদের এভাবে হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে, সেসব প্রশ্নের স্পষ্ট কোনও জবাব মেলেনি তাঁর কাছে। তবে সরকারি হাসপাতালের এই করুণ চিত্র আর রোগী হয়রানির ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠল পরিষেবা নিয়ে। ক্ষুব্ধ রোগী পরিজনরা চান সমস্যার মুক্তি।

আরও পড়ুন: Corona Vaccine: টিকা না পেয়ে অসমের পথে বাংলার মানুষ! ফেরাল না হিমন্ত সরকারও 

Next Article