রায়গঞ্জ: মানসিক হেনস্থার অভিযোগ রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দুই অধ্যাপক ও অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে। ইংরেজি বিভাগের এক পড়ুয়া হেনস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দফায় দফায় ওই দুই অধ্যাপককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে সেই মিটিংয়েও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। কমিটির সদস্যদের মুখোমুখি হন ওই ছাত্র, অভিযুক্ত অধ্যাপকরাও। ছাত্রের বক্তব্য, ফিজ় কমানোর দাবি তুলেছিলেন তিনি। আর তার জেরেই তাঁকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মানসিক হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান।
এরপর অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দুই অধ্যাপককে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। অন্যদিকে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি থাকলেও এই তদন্ত কমিটিতে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির সদস্যদের রাখা হয় নি বা ছাত্রদের প্রতিনিধিদেরও রাখা হয় নি বলে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের অনুগামীদের নিয়ে এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বলে অভিযোগ।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. দুর্লভ সরকার বলেন, “ইংরাজি বিভাগের এক ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে একটা তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকেও একটা চিঠি পেয়েছিলাম। কমিটি আজ সব পক্ষকেই ডাকে। বৈঠক হয়। এটা একটা কনফিডেনশিয়াল বিষয়। বিচারটা তদন্তাধীন। এর থেকে বিশেষ কিছু বলা যাবে না।” অভিযুক্ত অধ্যাপিকা সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায় বক্তব্য, “বৈঠক হয়েছে। আমরা আমাদের বক্তব্য দিয়েছি।ছাত্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা মা-ছেলের মতো। আমি এটাকে অভিযোগ মনে করি না।”