উত্তর দিনাজপুর: গ্রাম থেকে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে গবাদি পশু, উদ্ধার হচ্ছে তাদের ক্ষত বিক্ষত দেহ। খুবলে খাওয়া হয়েছে গরুর দেহ। এমনই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইসলামপুরে। বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে। ঘটনাস্থলে বন দফতর। প্রাথমিকভাবে বাঘ নয় বলেই অনুমান বনকর্মীদের। তবু খাঁচা পাতা হবে বলে বন দফতরের দাবি। নিখোঁজ গরুর ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারে বাঘের আতঙ্কের আগুনে যেন ঘি পড়ল ইসলামপুরের অজিতবাস কলোনি এলাকায়।
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যায় একটি বাঘ একটা কুকুরের শাবককে টেনে নিয়ে চা বাগানের ভেতরে চলে গেল এমন দৃশ্য দেখার দাবি করেন অজিতবাস কলোনী এলাকার কিছু মানুষ। পাশাপাশি এলাকার এক বাসিন্দা দাবি করেন, তাঁদের ছোটো একটি গরুকে পাওয়া যাচ্ছে না। চা বাগান লাগোয়া এলাকার নরম মাটিতে কোনও পশুর থাবার দাগও দেখা যাচ্ছিল পরিষ্কার ভাবেই। ইসলামপুর শহর লাগোয়া ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অজিতবাস কলোনির ঘটে যাওয়া এহেন ঘটনায় অভিযোগ জানানো হয় এলাকার প্রধানের কাছে।
খবর যায় বন দফতরেও। বৃহস্পতিবার বিকেলে এলাকায় আসেন বনদফতরের কর্মীরাও। তাঁরা সব কিছু পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, ওই পায়ের ছাপগুলো বাঘের নয়। অন্য কোনও পশুর হতে পারে। শুক্রবার সকালে ওই ঘটনাস্থলের পাশেই এক গ্রামবাসীর নিখোঁজ থাকা ছোট গরুটির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। গরুটির গলায় কোনও পশুর আক্রমণের চিহ্ন ছিল স্পষ্ট।
এর পরেই এলাকার বাসিন্দারা ফের খবর দেন প্রধানকে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। প্রধান উপপ্রধান এসে ঘটনাস্থল দেখে খবর দেয় বন দফতর ও পুলিশকে। ঘটনাস্থলে এসেছে পুলিশ। এসেছে চোপড়া রেঞ্জের বনদফতরের কর্মীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, গরুর মৃতদেহ দেখেই বোঝা যাচ্ছে নিশ্চিত ভাবেই বাঘ এসেছে। ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিঙ্কু দাস বলেন, “কোনও একটা হিংস্র পশুই গ্রামে ঢুকেছে। গরুর মৃতদেহটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সেটা।” এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত আছেন। অপরদিকে চোপড়া রেঞ্জের বন বিভাগের আধিকারিক তদন্ত করে দাবি করেন, “প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে এটা বাঘ নয়। আমরা গত কালকেও বলেছি আজও বলছি এটা ভাম হতে পারে। তবুও এলাকাবাসীকে সাবধানে থাকতে অনুরোধ করবো।”