রায়গঞ্জ: জাতীয় সড়কে ছিনতাই। সর্বস্ব খোয়ালেন তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা সদস্য। বাধা দিতে গেলে ওই মহিলা ও তাঁর স্বামীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। জখম অবস্থায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ শাসকদলের ওই কর্মী পরিবার। রায়গঞ্জ থানার পানিশালা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ ব্লকের বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সদস্য আসলেমা খাতুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চারচাকা গাড়িতে সপরিবারে তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সে সময় আচমকা একদল দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকায়। তাঁদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিলে পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামী আশারু মহম্মদকে মারধর করে। তাঁর পরনের সোনার অলঙ্কার ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাঁদের এক আত্মীয়ের মোটর বাইকও ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মহিলা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকেও মারধর করে তাঁরও সোনার গয়না ছিনতাই করে বলে অভিযোগ।
এদিকে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হন ওই মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামী। তিনি বলেন, “দুষ্কৃতীরা জানত যে আমি সবসময় সোনার গয়না পরে থাকি। ছক কষে হামলা চালিয়েছে।” শাসকদলের জনপ্রতিনিধি ও নেতারাই যখন রেহাই পাচ্ছে না, তখন সাধারণ মানুষের কি হাল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানান বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ভবানন্দ বর্মণ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।