Raiganj Medical College: কাতরাতে-কাতরাতে মৃত্যু তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার, চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ মেডিক্যাল কলেজে

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jan 28, 2023 | 9:04 PM

Raiganj Medical college: পরিবার সূত্রে খবর, মৃতের নাম রুবাই রজক (২৩)। বাড়ি রায়গঞ্জের উকিলপাড়া এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন বলে দাবি পরিবারের।

Raiganj Medical College: কাতরাতে-কাতরাতে মৃত্যু তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার, চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ মেডিক্যাল কলেজে
রুবাই রজক (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

রায়গঞ্জ: রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে চাঞ্চল্য ছড়াল। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুললেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, মৃত যুবক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। বিষয়টি মর্মান্তিক এবং তদন্তের দাবি তুলেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি।

পরিবার সূত্রে খবর, মৃতের নাম রুবাই রজক (২৩)। বাড়ি রায়গঞ্জের উকিলপাড়া এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন বলে দাবি পরিবারের। এরপর শনিবার ভোর সাড়ে চাড়টে নাগাদ তাঁর শারীরিক সমস্যায় দেখা দেয়। বাড়িতে কাউকে না বলে নিজেই বাইক চালিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি হন। অভিযোগ, সেই সময় হাসপাতালের কেউ তাঁকে কোনও রকম চিকিৎসা তো করেইনি। এমনকী বেডে নিয়ে যেতেও সাহায্য করেনি হাসপাতাল কর্মীরা। এখানেই শেষ নয়, পরিবারের আর অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ ধরে কাতারালেও অক্সিজেন দেওয়া হয়নি। তাঁর অবস্থা দেখে অন্যান্য রোগীরা পাশের বেড ছেড়ে এসে সহযোগিতা করেন।তবে শেষ রক্ষা হয়নি।

যদিও, এই বিষয়ে দায়িত্বে থাকা সিস্টার ইনচার্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে রায়গঞ্জ মেডিক্যালের এমএসভিপি প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, “পরিবারের অভিযোগ শুনলাম। একটা কমিটি গঠন করা হবে। সেখানে জেলাশাসক থাকবেন। যদি সত্যিই গাফিলতি হয় কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”  এ দিকে, তৃণমূল নেতার মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছয় দলের লোকজনও। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতা বলেন, “তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ হয়েছে কি না জানা নেই। তবে একজন মানুষ হিসাবে এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।” অপরদিকে মৃতের মা বলেন, “আজ ভোর চারটে নাগাদ ছেলের একটু শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। ছেলে নিজেই বাইক চালিয়ে এসেছে হাসপাতালে। আমাকেও নিয়ে আসে সঙ্গে করে। কিন্তু আমরাই সব বললাম। ডাক্তারকে বললাম যে কত প্রেসার আছে দেখে দিতে। ডাক্তার কিছুই বলছিল না। ওকে বেডে শোয়ানোর জন্য ওয়ার্ডবয়দের পর্যন্ত বলেছি। কেউ কোনও কথাই শুনল না। হাসপাতালের জন্যই আমার ছেলেটা শেষ হয়ে গেল।” এই বিষয়ে রায়গঞ্জ পৌরসভার উপ পৌর প্রশাসক অরিন্দম সরকার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট চেষ্টা করছেন সুস্বাস্থ্যের বন্দোবস্ত করা। কিন্তু ডাক্তার-নার্সদের গাফিলতির জন্য আজকে এমন একটা মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।”

Next Article