রায়গঞ্জ: বুধবার সকাল থেকেই শোরগোল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। বিজেপির টিকিটে জেতা বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর (MLA Krishna Kalyani) বাড়িতে হানা দিয়েছে আয়কর দফতর (IT Raid)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতলেও, এখন তৃণমূল শিবিরের সঙ্গেই তাঁর ঘনিষ্ঠতা বেশি বলে দাবি করে বিরোধীরা। বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানও করা হয়েছে তাঁকে। বিধায়কের বাড়িতে হানা দেওয়ার পরপরই তাঁদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে নেন অফিসাররা। বিধায়কের বাড়ির পাশাপাশি তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। এখনও শেষ হয়নি আয়কর আধিকারিকদের অভিযান। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, ব্যবসায়ী থেকে কীভাবে বঙ্গ রাজনীতির এক অন্যতম চর্চিত মুখ হয়ে উঠলেন তিনি।
বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর ব্যবসা শুরু ১৯৯৬-৯৭ সাল থেকে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিপুল বিস্তার ঘটেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। কল্যাণী সলভেক্স, ধানের তুষের তেলের ফ্যাক্টরি, মাছের খাবার, এক্সপোর্টের ব্যবসা, ট্রাইব টিভি স্যাটেলাইট চ্যানেল, গাছের চারার ব্যবসা, দক্ষিণ দিনাজপুরে প্ল্যান্ট, প্রোমোটারি ব্যবসা, শপিং মল সহ আরও বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে তাঁর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফুলে ফেঁপে ওঠে ব্যবসায়িক কারবার। এরপর ২০২১ সালেই প্রথমবার বিধানসভার নির্বাচনে নামেন। বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হন রায়গঞ্জ থেকে। জয়ী হয়ে বিধায়কও হন। কিন্তু সেই বছরেরই অক্টোবর মাসে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়কের। কলকাতায় এসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। আর এখন তিনি বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান।
জানা যাচ্ছে, যে এক্সপোর্ট ব্যবসা রয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণীর, সেটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তৃণমূলের মালদার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মাও। সেই হেমন্ত শর্মার বাড়ি ও তাঁর অফিসেও হানা দিয়েছেন আয়কর আধিকারিকরা। সব মিলিয়ে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে আয়কর হানা ঘিরে জোর শোরগোল রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। তাঁর ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আর্থিক কোনও অনিয়ম রয়েছে কি না, সেই সব দিক খতিয়ে দেখছেন আয়কর অফিসাররা।