West Bengal Assembly Election 2021 Phase 6: ‘ভোট দিতে যাবে না? বলেই মার শুরু করল কেন্দ্রীয় বাহিনী’

West Bengal Assembly Election 2021 Phase 6: এক বৃদ্ধের ভাঙা পায়েও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

West Bengal Assembly Election 2021 Phase 6: 'ভোট দিতে যাবে না? বলেই মার শুরু করল কেন্দ্রীয় বাহিনী'
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 22, 2021 | 3:28 PM

উত্তর দিনাজপুর: গ্রামের লোকজন একটা সেতুর জন্য দিনের পর দিন কাকুতি মিনতি করে গিয়েছে। মেলেনি ফল। তাই এবার ভোট (West Bengal elections 2021) বয়কটের ডাক দিয়েছিল। অভিযোগ, জোর করে ভোট দেওয়াতে নিয়ে যেতে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গ্রামবাসীরা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকায় বেধড়ক মারধর করে জওয়ানরা। এই অভিযোগ ঘিরে বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফার ভোটে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের শেরপুর এলাকা।

শেরপুর এলাকার ১২৯ নম্বর বুথ। কুলিক নদীর উপর একটি সেতুর দাবি এখানকার ভোটারদের দীর্ঘদিনের। এবার তাঁরা ঠিক করেছেন, ভোটই দেবেন না। তাঁদের কথায়, মানুষের পাশে থাকবে বলেই জনপ্রতিনিধি বাছা হয়। তা যদি না-ই হয় তা হলে আর ভোট দিয়ে লাভটা কী! সে কারণেই এদিন সকাল থেকে আর পাঁচটা দিনের মতই স্বাভাবিক ছন্দে দিন কাটাচ্ছিলেন এলাকার লোকজন।

আরও পড়ুন: রাস্তায় খেলছিল বাচ্চারা, বিকট শব্দে কাঁপল এলাকা! স্‌প্লিন্টার ছিটকে সোজা শিশুর থুতনিতে

স্থানীয় বাসিন্দা ঝুমা রায়ের অভিযোগ, “বাচ্চাদের নিয়ে ঘরে বসেছিলাম। দাওয়ায় বসে বাড়িরই দু’ একজন গল্প করছিল। আমার শ্বশুরমশাই বাচ্চাটাকে নিয়ে বসেছিলেন। ওরা হঠাৎ গাড়ি নিয়ে এসে ঢুকল। বলল ভোট দিতে যাবে না? বললাম, না যাব না। এরপরই শুরু হল ভাঙচুর। যা পেরেছে ভেঙেছে। আমার শ্বশুরমশাইয়ের ভাঙা পা। সেখানেও মেরেছে।”

একই অভিযোগ এলাকারই আরেক বাসিন্দা প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের। প্রসেনজিৎ বলেন, “এখানে আমরা কয়েকজন বসেছিলাম। আমাদের আন্দোলন ব্রিজের জন্য। আমরা জানিয়েই দিয়েছি ভোট দেব না। দেখুন এটা তো কারও ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য নয়। এলাকার মানুষের দাবি। তাই গাছের নিচে বসেছিলাম ১০-১৫ জন। হঠাৎই পিছন থেকে জওয়ানরা এসে পেটানো শুরু করল। কেউ নিশ্চয়ই বুঝিয়েছে কিছু।”