উত্তর দিনাজপুর: ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) হয়ে এলাকায় গিয়েছিলেন বিধায়ক। অথচ বিধায়ককে দেখে চিনতেই পারলেন না এলাকার লোকজন। প্রথমে অবাকই হয়ে যান তাঁরা। বিধায়ক জিজ্ঞাসা করলে বলেন, চিনতে পারছেন না। এরপর এগিয়ে গিয়ে নিজেই নিজের পরিচয় দেন বিধায়ক। বিধায়ক উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। সোমবার ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন তিনি। কালিয়াগঞ্জের অনন্তপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় বিধায়ক যেতেই এই ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে জেলায় জেলায়। এই কর্মসূচিতে গিয়ে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে শাসকদলের নেতাদের। সাংসদ-বিধায়কদের ঘিরে বিক্ষোভও দেখাচ্ছেন অনেক জায়গায়। তবে কালিয়াগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে তা অবাক করার মতোই।
অনন্তপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গিয়েছিলেন সৌমেন রায়। গ্রামের রাস্তা ধরে তিনি যখন যাচ্ছিলেন, টোটোয় পাঁচ মহিলা ছিলেন। বিধায়ক তাঁদের দেখে হেসে বলেন, “চিনতে পারছেন?”। মহিলারা প্রশ্ন শুনে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। তা দেখে পাল্টা বিধায়ক বলেন, “চেনেন নাই?” এগিয়ে টোটো তখন এগিয়ে যাচ্ছিল। চালককে দাঁড় করান বিধায়ক।
এরপর পিছন থেকে একজন বলে ওঠেন, “আমাদের বিধায়ক।” সৌমেন রায় আবারও হাসতে হাসতে বলেন, “এমএলএকে চেনেন না?” তবে কিছুটা বিড়ম্বনাই হয় বিধায়কের। পরে বিধায়ক সৌমেন রায় বলেন, “আজ আমরা অনন্তপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় যাই। বিজেপির টিকিটে ভোট জিতলেও আমি আসলে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক। তাই এখন তৃণমূলের কর্মী হিসাবে দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়াটা চ্যালেঞ্জের কিছুই নয়। মানুষ আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে সরকারের সঙ্গে থেকে মানুষের উন্নয়ন করা, এলাকার উন্নয়ন করা।”
অন্যদিকে যাঁরা বিধায়ককে চিনতে পারেননি প্রথম দেখায় পরে তাঁরাই বলেন, “গতবছর ভোট দিয়েছি। এ বছরে কি তাড়াতাড়ি করে চেনা যায়? মাঝখানে তো দেখতে পাইনি।” প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সৌমেন রায় তৃণমূলে যোগদান করেন।