রায়গঞ্জ: বাজার হঠানোর অভিযান ঘিরে উত্তেজনা রায়গঞ্জে (Raigung)। মঙ্গলবার সকালে এই অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় রায়গঞ্জ রেল বাজার চত্বরে। রাস্তা ছেড়ে প্ল্যাটফর্মের পাশে উঠে যান ব্যবসায়ীরা। বাজার বন্ধের অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় প্রতিবাদে মুখর হন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মহকুমাশাসক, পুরপ্রশাসক। রায়গঞ্জ স্টেশনের পাশেই রাস্তা। সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে সবজি বাজার, মাছের বাজার বসে। মঙ্গলবার সকালে পুরপ্রশাসন, মহকুমাপ্রশাসন সেখানে যায়। এদিকে প্রশাসনের আসার খবরে ব্যবসায়ীরা তাঁদের পসরা নিয়ে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ধারে উঠে পড়েন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাঁদের জন্য কোনও স্থায়ী ঠিকানার ব্যবস্থা করে না প্রশাসন। আজ এখানে, কাল ওখানে বসে পেটের ভাত জোগাড় করতে হয়। এই বাজারে মূলত বিহার ও কালিয়াগঞ্জ থেকে প্রচুর সবজি আসে। সে সবজি সস্তায় আনেন ব্যবসায়ীরা। তাতে লাভ হয় ক্রেতাদেরও। এদিনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ তাঁরাও।
যেহেতু রেলের এলাকায় এই উত্তেজনা, তাই ঘটনাস্থলে রেল পুলিশও আসে। আরপিএফ কনস্টেবল রাম অবতার সাহা বলেন, “এরা গরিব মানুষ। ব্যবসা তুলে দিলে কোথায় যাবে, তা জানি। তবে এ নিয়ে আমার বলার কোনও এক্তিয়ার নেই। আমার উপর ইন্সপেক্টর আছেন। প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গেও কথা বলার কথা বললাম।”
তবে রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক কিংশুক মাইতি বলেন, “ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করা হয়েছিল, রাস্তায় না বসতে। ওনারা আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এখানে টোটো বা রিক্সার যে অস্থায়ী স্ট্যান্ড, তাদেরও বলেছি সরিয়ে দিতে। তাতে মানুষের যানজটের বিপত্তি কমবে।” কিন্তু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের কথা মেনে তাঁরা রেল স্টেশনের ধারে গিয়ে পসার সাজান। এখন রেলও তাঁদের তুলে দিচ্ছে। তাঁরা স্থায়ী ঠিকানা চাইছেন।
রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপ্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, “আমরা একটা সিস্টেমে আনার চেষ্টা করছি। তারই উদ্যোগ নিয়েছি। রায়গঞ্জবাসীর সুবিধার জন্যই এটা করা। আমরা বলেছি, কোভিডের আগে যেখানে এই বাজার বসত, সেখানেই বসুক। আমরা রাস্তা ছেড়ে বসার জন্য বলেছি। আর রেলের জায়গায় বাজার নিয়ে অনিশ্চয়তার তো কিছু নেই। বারসোই, কাটিহার, শিয়ালদহে কি রেলের জায়গায় বাজার নেই? এটা হতে পারে?”
রায়গঞ্জ: বাজার হঠানোর অভিযান ঘিরে উত্তেজনা রায়গঞ্জে (Raigung)। মঙ্গলবার সকালে এই অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় রায়গঞ্জ রেল বাজার চত্বরে। রাস্তা ছেড়ে প্ল্যাটফর্মের পাশে উঠে যান ব্যবসায়ীরা। বাজার বন্ধের অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় প্রতিবাদে মুখর হন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মহকুমাশাসক, পুরপ্রশাসক। রায়গঞ্জ স্টেশনের পাশেই রাস্তা। সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে সবজি বাজার, মাছের বাজার বসে। মঙ্গলবার সকালে পুরপ্রশাসন, মহকুমাপ্রশাসন সেখানে যায়। এদিকে প্রশাসনের আসার খবরে ব্যবসায়ীরা তাঁদের পসরা নিয়ে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ধারে উঠে পড়েন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাঁদের জন্য কোনও স্থায়ী ঠিকানার ব্যবস্থা করে না প্রশাসন। আজ এখানে, কাল ওখানে বসে পেটের ভাত জোগাড় করতে হয়। এই বাজারে মূলত বিহার ও কালিয়াগঞ্জ থেকে প্রচুর সবজি আসে। সে সবজি সস্তায় আনেন ব্যবসায়ীরা। তাতে লাভ হয় ক্রেতাদেরও। এদিনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ তাঁরাও।
যেহেতু রেলের এলাকায় এই উত্তেজনা, তাই ঘটনাস্থলে রেল পুলিশও আসে। আরপিএফ কনস্টেবল রাম অবতার সাহা বলেন, “এরা গরিব মানুষ। ব্যবসা তুলে দিলে কোথায় যাবে, তা জানি। তবে এ নিয়ে আমার বলার কোনও এক্তিয়ার নেই। আমার উপর ইন্সপেক্টর আছেন। প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গেও কথা বলার কথা বললাম।”
তবে রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক কিংশুক মাইতি বলেন, “ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করা হয়েছিল, রাস্তায় না বসতে। ওনারা আমাদের অনুরোধ রেখেছেন। এখানে টোটো বা রিক্সার যে অস্থায়ী স্ট্যান্ড, তাদেরও বলেছি সরিয়ে দিতে। তাতে মানুষের যানজটের বিপত্তি কমবে।” কিন্তু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের কথা মেনে তাঁরা রেল স্টেশনের ধারে গিয়ে পসার সাজান। এখন রেলও তাঁদের তুলে দিচ্ছে। তাঁরা স্থায়ী ঠিকানা চাইছেন।
রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপ্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, “আমরা একটা সিস্টেমে আনার চেষ্টা করছি। তারই উদ্যোগ নিয়েছি। রায়গঞ্জবাসীর সুবিধার জন্যই এটা করা। আমরা বলেছি, কোভিডের আগে যেখানে এই বাজার বসত, সেখানেই বসুক। আমরা রাস্তা ছেড়ে বসার জন্য বলেছি। আর রেলের জায়গায় বাজার নিয়ে অনিশ্চয়তার তো কিছু নেই। বারসোই, কাটিহার, শিয়ালদহে কি রেলের জায়গায় বাজার নেই? এটা হতে পারে?”