হাওড়া: শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা! হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই টিকিটের বুকিং শুরু হয়ে গেল। ট্রেনের প্রথম যাত্রায় সওয়ার করতে উদগ্রীব ভ্রমণপ্রিয় মানুষজন। নতুন বছরের ১ জানুয়ারি অর্থাৎ যেদিন থেকে সাধারণ যাত্রীরা সওয়ার করতে পারবেন, সেই দিনের জন্য ইতিমধ্যে এক্সিকিউটিভ ক্লাসের সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যেই এই বুকিং সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আরল চেয়ারকারে বাকি রয়েছে ১০০-র কিছু বেশি টিকিট। অর্থাৎ রাজ্যে বন্দে ভারত-এর যাত্রার শুরুতেই মিলতে চলেছে বড় সাফল্য।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন হলেও যাত্রা শুরু হবে ১ জানুয়ারি থেকে। তবে এদিন ট্রেনের উদ্বোধন হওয়ার পরই এই ট্রেনের টিকিট বুকিং নেওয়া শুরু হয়। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১ জানুয়ারির ট্রেনের এক্সিকিউটিভ ক্লাসের সমস্ত সিট বুকিং হয়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এক্সিকিউটিভ ক্লাসের সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়ে ওয়েটিং ৩ দাঁড়ায়। আর ওই দিনের চেয়ারকারের মাত্র আর ১৬৬টি সিট খালি রয়েছে।
অন্যদিকে, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়ায় আসার সিটও ফুল হয়ে গিয়েছে। নতুন বছরের ১ ও ২ তারিখের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। বলা যায়, একেবারে ঝড়ের গতিতে বিকোচ্ছে বন্দে ভারতের টিকিট।
প্রসঙ্গত, এদিন হাওড়া স্টেশনে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সূচনা হয়। ভার্চুয়ালি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন হয়ে গেলেও ১ জানুয়ারি থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের দরজা। যাত্রী স্বচ্ছন্দ্যই এই ট্রেনের শেষ কথা। মোটামুটি সাড়ে সাত ঘণ্টার মধ্যে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছতে পারবেন এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনে। বুধবার বাদে সপ্তাহের ছ’দিনই চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যাত্রীদের জন্য দু’ধরনের কোচ থাকছে এই ট্রেনে। এসি চেয়ার কার (সিসি) ও এক্সিকিউটিভ চেয়ার কার (ইসি)। এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারে থাকছে ৬৯ আসনের ব্যবস্থা, এসি চেয়ার কারে থাকছে ৯০৭ আসন। প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম বা পিআরএসের পাশাপাশি ইন্টারনেটেও বন্দে ভারতের টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। রয়েছে তৎকাল টিকিট কাটার ব্যবস্থাও। LED আলো, ল্যাপটপ চার্জিং পয়েন্ট সহ অত্যাধুনিক কোচের পাশাপাশি যাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা থাকছে। ওয়েলকাম ড্রিঙ্কস ফ্রুট জ্যুস থেকে শুরু করে পোলাও, পরোটা, চিকেন, মিষ্টি সহ লাঞ্চ এবং স্ন্যাক্সেরও ব্যবস্থা থাকছে। তাই অত্যাধুনিক, বিলাসবহুল ও সেমি হাইস্পিডের ট্রেনে চড়তে মরিয়া বাংলার ভ্রমণপিপাসুরা।