বীরভূম: আর ঘুরপথে নয়। এবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সরাসরি নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) বিরুদ্ধে জায়গা ‘দখল’ নেওয়ার অভিযোগ তুলল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ (Visva Bharati University)। নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অফিসে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে কর্তৃপক্ষ। সেখানেই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, বিশ্বভারতীর কাছে যে তালিকা রয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জায়গা দখল করে আছেন। সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারও। তাঁরা জানান, প্রয়োজনে রাজ্য ভূমি সংস্কারের তরফে নিয়ম মেনে সকল পক্ষের প্রতিনিধিদের সামনে রেখে জমি মাপ-ঝোক করা হোক, তাহলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে৷
বিগত কয়েকমাস যাবত নানাভাবে অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর জায়গা দখল করে রাখার অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এনেছে। তবে এভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে সরাসরি ‘দখল’ নেওয়ার অভিযোগ নজিরবিহীন বলা চলে।
আরও পড়ুন: রাম মন্দির নির্মাণে টাকা দিতে রাজি তৃণমূল জেলা সভাপতি, তবে আরএসএস-এর হাতে নয়
অমর্ত্য সেনের ফোন কল নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল সেই প্রসঙ্গও আজকের সাংবাদিক বৈঠকে উঠে আসে। গত ৯ ডিসেম্বর বিশ্বভারতীর এক বৈঠকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দাবি করেছিলেন, অমর্ত্য সেন তাঁকে ফোন করে বলেন যে, তাঁর মেয়ে যেহেতু হাঁটাচলা করে তাই ফুটপাত যাতে না তোলা হয়। বৈঠকের এই কথোপকথন বাইরে এনেছিলেন অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। এই ইস্যুতে সুদীপ্তবাবু অমর্ত্য সেনকেও ই-মেল মারফৎ উপাচার্যের দাবির সত্যতা জানতে চান। পালটা ই-মেলে জবাব দিয়ে অমর্ত্য সেন জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও ফোন করেননি। আজ সেই প্রসঙ্গেই টেনেই একবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, উপাচার্যকে ফোন করেছিলেন অমর্ত্যই।
আরও পড়ুন: মুকুল ফিরলেন পুরানো ঠিকানায়