কলকাতা: পানশালায় কি কোনও মহিলার কাজের অধিকার রয়েছে? এই নিয়ে বির্তক বরাবরের। ১৯০৯ সালের পশ্চিমবঙ্গ আবগারি নীতি অনুযায়ী, কোন ‘অন’ ক্য়াটাগরি মদের দোকান বা পানশালায় মহিলাদের কাজের অনুমতি নেই।
যুগ বদলেছে, সময় বদলেছে। লিঙ্গ বিভেদ এখন সামাজিক ‘অপরাধের’ সমান। তাই দশক পুরনো এই নীতিতে বদল আনতে চায় রাজ্য সরকার। বিধানসভায় শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। উত্তাল, উত্তেজনা, ধর্মযুদ্ধ সব কিছু মিলিয়ে সেখানে এখন তুঙ্গ পরিস্থিতি। আর তার মাঝেই মহিলাদের জন্য পাস হয়ে গেল এই নতুন বিল।
নাম পশ্চিমবঙ্গ অর্থ বিল। দশক পুরনো আবগারি নীতিকে সংশোধনেই বিধানসভায় এই নতুন বিল পেশ করে রাজ্য সরকার। বুধবার রাজ্যের অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের উদ্যোগেই পেশ হয় এই নতুন বিল। যার মাধ্যমে পানশালাতেও এবার থেকে কাজের সুযোগ পাবেন মহিলারা।
সাধারণ ভাবে, গোটা দেশের মদ বিক্রির ক্ষেত্রে দুই ধরনের দোকান দেখা যায়। একটি ‘অফ’ ক্যাটাগরি মদের দোকান অর্থাৎ যেখানে ক্রেতা মদ কিনতে পারলেও তা বসে খেতে পারবে না। অন্যটি, ‘অন’ ক্যাটাগরি মদের দোকান বা সহজ ভাষায় পানশালা। যেখানে ক্রেতা যেমন মদ কিনতেও পারবেন, তেমনই আবার তা সেখানে বসে পানও করতে পারবেন।
গতকাল বিধানসভায় পাস হওয়া এই নতুন বিলের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি ‘অন’ ক্য়াটাগরি মদের দোকান বা পানশালাতে মহিলাদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রস্তাব দিল রাজ্য সরকার। এই প্রসঙ্গে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, ‘রাজ্য সরকার পুরুষ ও নারীদের মধ্যে কোনও বৈষম্যর জায়গা রাখতে চায় না। সেই সুবাদেই এই বিল প্রস্তাবনা।’
পাশাপাশি, এই নতুন বিলের মধ্য়ে দিয়ে রাজ্যে মদের চোরাকারবারি ও অবৈধ উৎপাদন রুখতে উদ্যত্ত রাজ্য সরকার। তাদের দাবি, এই নতুন বিল আইনে রূপান্তর হলে মদ তৈরির সমস্ত কাঁচামালের উপর নিয়ন্ত্রণ চাপাতে পারবে রাজ্য।