TV9 বাংলা ব্যুরো: উত্তর বঙ্গোপসাগরে হওয়া ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমী অক্ষরেখা প্রবলভাবে সক্রিয়। আর সেই কারণেই আজও দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় ভারী বৃৃষ্টির (Flood Situation) পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। চিন্তার ঘুম উড়েছে হুগলি, মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার চাষিদের।
ঘাটাল
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলেও, জল কমতে শুরু করেছিল ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকায়। কিন্তু আবার গত দু’দিনের মুষুলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর তাতে নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দাদের। ফের তৈরি হয়েছে সেই একই পরিস্থিতি। এখনও ঘাটালের মানুষদের যাতায়াতের একমাত্র উপায় নৌকো বা ডিঙি।
দুর্ভোগ-দুর্যোগ থেকে মুক্তি নেই ঘাটালবাসীর। ডিভিসি থেকে যদি জল ছাড়ে তাহলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে মনে করছে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। ঘাটাল পৌর এলাকার ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ ওয়ার্ডে এখনও জলের তলায়। বাড়িঘর-রাস্তাঘাট- পানীয় জলের কল সবই জলের তলায়। শুধু ঘাটাল পৌর এলাকাই নয়, ব্লকের দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত এখনও জলের তলায় ছিল। জল কমেছে ঘাটাল, শিলাবতি ও চন্দ্রকোনা নদীগুলিতে।
বাঁকুড়া
বেশ কয়েকদিন টানা বৃষ্টির ফলে বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর জলাধারতে জলস্তর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে জলস্তর রয়েছে ৪৩২ বিপদসীমা থেকে ১ ফুট নীচে। আর ঠিক সেই কারণে মুকুটমণিপুর কংসাবতী জলাধার থেকে ১০ হাজার হাজার কিউসেক জল ছাড়া হল। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হবে অসংখ্য চাষিদের। পাশাপাশি বন্যাকবলিত ঘাটাল দাসপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় নতুন করে প্লাবিত হওয়ার একটা আশঙ্কা রয়েছে। কংসাবতী সেচ দফতর সূত্রে খবর, নিম্নচাপের পরিস্থিতি দেখে আবারও জলের পরিমাণ বাড়ানো হতে পারে।
আরামবাগ, হুগলি
আবারও দুশ্চিন্তার মেঘ খানাকুলে। বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলির বিস্তীর্ণ অংশে ভারী বৃষ্টিতে আবারও ফুলে-ফেঁপে উঠতে পারে দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতী। অন্যদিকে, কংসাবতী জলাধার থেকে জল ছাড়ায় আবারও রূপনারায়ণে জল বাড়বে। ফলে খানাকুলের ধান্যঘোরীর পাত্র পাড়ার ভাঙ্গা বাদ দিয়ে আবারও জল ঢুকবে খানাকুলের বিস্তীর্ণ অংশে। একদিকে খানাকুলের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশই স্বাভাবিকের দিকে। আরামবাগ বন্দর রাজ্য সড়কের ওপর থেকে জল নেমেছে। অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টি দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।
আগামী শনিবার নতুন করে আবারও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। এই ঘূর্ণাবর্ত পরের দিন অর্থাত্ ২৬ তারিখ ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে আসবে। সেই সময় উপকূলের জেলাগুলোতে আবারও বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপের ফলে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও দুই মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। বাকি জেলা পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানেরও পরিস্থিতি হবে একই রকম।
আরও পড়ুন: Maldah Murder: বরের পিসতুতো দাদার সঙ্গে বউয়ের সম্পর্ক! সিঁড়ির নীচেই লুকানো ‘পাপের ফল’