Lightning: বাজ পড়ে দক্ষিণবঙ্গে নিহত ১৪
Weather: এদিন দুপুরের পর থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা শুরু হয়। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, বর্ধমান, জেলায় জেলায় ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় ঝড়, বৃষ্টির সঙ্গে বাজের (Lightning) দাপট। একদিনে বাজ পড়ে দক্ষিণবঙ্গে মৃতের সংখ্যা ১৪। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়ায় বাজ পড়ে মৃত্যুর খবর আসছে। এই প্রতিবেদন লেখা অবধি যা খবর, তাতে মেদিনীপুরে ৩ জন, পূর্ব বর্ধমানে ৪ জন, মুর্শিদাবাদে ৩ জন, হাওড়ায় ৩ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।
- বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলাজুড়ে বজ্রাঘাতে মৃতের সংখ্যা ৪। আহত ১ জন। ভাতারের বেলেণ্ডা গ্রামে বজ্রাঘাতে মারা যান মনসুর আলি শেখ (৩৫)। মৃতের বাবা আসগর আলি জানিয়েছেন, ছেলেকে নিয়ে মাঠ থেকে গরুর গাড়িতে ধান চাপিয়ে নিয়ে আসছিলেন। কিছুটা আসার পর আচমকাই যেন মনে হয়, তাঁদের মাথার উপর বাজ পড়ল। এরপরই পিছনে ঘুরে দেখেন ছেলে মনসুর মাটিতে পড়ে আছেন।
- অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমাতেও বজ্রাঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম খোকন শেখ (৪০)। বাড়ি কালনা-১ ব্লকের কালিনগর পশ্চিমপাড়া এলাকায়। খণ্ডঘোষের তোরকোনার বাসিন্দা বাসুদেব রায় (৫২)-এর মৃত্যু হয়েছে বজ্রাঘাতে। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মাঠ থেকে ধান কাটার কাজ করছিলেন বাসুদেববাবু। সেই সময় বজ্রাঘাতে তিনি জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বর্ধমান থানার নতুনগ্রামের বাসিন্দা মফুজা বেগম (৩৫) ধান তোলার কাজ করার সময় আহত হন বাজের আঘাতে।
- হাওড়ায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমতায় তিনজনেরই বাড়ি। আহত তিন জন। বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রামীণ হাওড়ায় ঝড় বৃষ্টি ও ঘন ঘন বাজ পড়ে। আমতার শেরপুরে মাঠে কাজ করছিলেন ৫৭ বছরের মহানন্দ ঘুকু। বাজ পড়ে আহত হন। আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে আমতা সিরাজবাটি মিল্কিচক ধনুড়ি পাড়ায় মাঠের ধারে বসেছিলেন চার যুবক। বাজ পড়ে চারজন গুরুতর আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজন ৩৭ বছরের মহম্মদ ইসমাইল মারা যান। শেখ জুলফিকর নামে ২২ বছরের এক যুবকও বজ্রাঘাতে মারা যান। আমতা বিধানসভার অন্তর্গত বাকসী গ্ৰামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
- পশ্চিম মেদিনীপুরে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় এক কিশোরী-সহ ৪ জনের। আহত হন দু’জন। আহতদের চিকিৎসা চলছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বাজ পড়ে মৃত্যু হয় স্বপন ভুইয়্যা (৪৪) নামে এক ব্যক্তির। শালবনি থানার বাগমারি এলাকার ঘটনা। কেশপুর থানার অঙ্গুয়া এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় মামনি ঘোষ (১৮) নামে এক কিশোরীর। মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত শিরোমণি এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় বৈদ্যনাথ সরেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তির।
- পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোনা থানার যাদবনগরে ২৬ বছরের এক যুবকেরও মৃত্যু হয়। তাপস পাতর (২৬) নাম। পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষেতের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তাপস। সে সময় প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। মাঠেই লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তাঁকে উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
- মুর্শিদাবাদে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। ভরতপুর-২ ব্লকের কাগ্রামে কাজ করার সময় মারা যান দু’জন। নাম হাবিব শেখ (২৪) এবং নেকবস শেখ (২৬)। অন্যদিকে সামসেরগঞ্জ থানার লক্ষ্মীনগরেও বাজ পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নাম সালাউদ্দিন শেখ (২১)।