মালদা : ফের কোন্দল শাসক শিবিরে। বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হরিশচন্দ্রপুর। জানা গিয়েছে, দলীয় কর্মীদেরই প্রহারে আহত হন দুই তৃণমূল কর্মী কৌশিক সিংহ ও দীপক পাসওয়ান।
আক্রান্ত তৃণমূল নেতা কৌশিক সিংহের অভিযোগ, হরিশচন্দ্রপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মানিক দাসের নেতৃত্বে সাহেব দাস এই হামলা করে। এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। চলে লাথি, ঘুসিও। আক্রান্ত নেতার আরও অভিযোগ, তাঁরা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি জিয়ায়ুর রহমানের অনুগামী। পুরনো শত্রুতা থেকেই তাই মানিক দাসের গোষ্ঠী এই হামলা করেছে।
আরও পড়ুন : প্রতি বছরই পার্শ্ব শিক্ষকদের ৩ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি: প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর
কৌশিকের পাল্টা অভিযোগ করেছেন তৃণমূল (TMC) নেতা মানিক ঘনিষ্ঠ সাহেব দাসও। তাঁর অভিযোগ, দলের মধ্যেই বিরোধ বাধিয়ে আসলে দল ভাঙানোর কাজ করছেন জিয়ায়ুর ও তাঁর গোষ্ঠী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ কথা বলতে বলতে দুই পক্ষে বচসা বাধে। বিতর্ক বাড়তেই তা হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। তৃণমূল নেতা সাহেব দাস বলেন, ‘জিয়ায়ুর দলবিরোধী কাজ করে। হরিশচন্দ্রপুরের কংগ্রেস বিধায়ক মোস্তাক আলমের সঙ্গে জিয়ায়ুরের গোপন আঁতাত আছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মদ্যপ অবস্থায় তারা নিজেরাই গন্ডগোল বাধায়। তারপরেই হামলা করে। ’
আরও পড়ুন : বিনা বনধে স্তব্ধ এনজিপি স্টেশন! চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা
যদিও এই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন জিয়ায়ুর রহমান। কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও মুখ খোলেননি তৃণমূল (TMC) নেতা। বিধায়ক মোস্তাক আলম স্পষ্টই জানিয়েছেন, তৃণমূলের সঙ্গে কোনও গোপন আঁতাত নেই কংগ্রেসের। এমন মন্তব্য কেউ করে থাকলে তা আসলে রটনা বলেই দাবি করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক।
যতই নির্বাচন এগিয়ে আসছে, ততই ধরা পড়ছে শাসকগোষ্ঠীর অন্তর্কলহ। হরিশচন্দ্রপুরের এই দলীয় কোন্দলে তোপ দেগেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তারা জানিয়েছে, তৃণমূলের শেষ অবস্থা আসন্ন। তাই রোজই দল ভাঙছে তৃণমূলের। সন্ত্রাসই জোড়াফুলের (TMC) একমাত্র হাতিয়ার।