উত্তর দিনাজপুর: ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ গ্রামবাসীদের। আর এরইমধ্যে শনিবার জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি দল এসে পৌঁছেছে রায়গঞ্জে। তিন সদস্যর দলে রয়েছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। এদিন রাতে রায়গঞ্জের সার্কিট হাউজে যান তাঁরা। আজ রবিবার সকালে সাহেবঘাটায় যাবেন। দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয় সাহেবঘাটা। বাড়ির অদূরে একটি পুকুরের ধারে ওই কিশোরীর মৃতদেহ পড়েছিল। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তুলে শনিবার ও রবিবার দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। প্রতিবাদে নামে বিজেপিও। কেন এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা গেল না তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার লোকজন। যদিও রায়গঞ্জ জেলা পুলিশের এসপি মহম্মদ সানা আখতার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বিষক্রিয়ার উল্লেখ রয়েছে। কোনও আঘাতের চিহ্ন শরীরে নেই। তারপরও আমরা সমস্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত করছি।”
যদিও প্রথম থেকেই এই ঘটনায় সক্রিয় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। শনিবার রাজ্যে আসার আগেই দিল্লিতে TV9 বাংলাকে প্রিয়াঙ্ক কানুনগো জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরো পরিস্থিতি দেখে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেবে কমিশন। প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেন, “পুলিশ যেভাবে মৃতদেহ টেনে নিয়ে গিয়েছে, তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই ঘটনাকে মোটেই মানবিক বলা যায় না। পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জে এসে প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেন, “একটা বাচ্চাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে খুন করা হল। বাচ্চার মা আমাকে অভিযোগ করেছেন। পুলিশ যেভাবে নাবালিকার দেহ টেনে নিয়ে যাচ্ছে, সে ভিডিও আমরা দেখেছি। তা যথেষ্ট অপমানজনক। গ্রামের লোকজনের পাশাপাশি তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে আমরা কথা বলব।”
যদিও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, “শিশু সুরক্ষা আয়োগ যদি একটা কাজের মধ্যে ঢুকে যায়, সেখানে আর কারও ঢোকার প্রয়োজন পড়ে না। ওরা আসলে কাউকে আমরা আটকাতে পারি না।”