উত্তর ২৪ পরগনা: সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) ভাইপোকে গ্রেফতার করল জগদ্দল থানার (Jagaddal) পুলিশ। অর্জুনের তুতো ভাইয়ের ছেলে সঞ্জয় সিংকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন তাঁকে আদালতে তোলা হবে। একটি ব্যাটারি কারখানায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে। সূত্রের খবর, সেই অভিযোগকে সামনে রেখেই বৃহস্পতিবার রাতে সঞ্জয় সিংকে আটক করে জগদ্দল থানার পুলিশ। এরপর শুক্রবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে জগদ্দল ঘোষপাড়া রোড অবরোধ করে তৃণমূল কর্মীরা। ব্যাটারি কারখানায় সংঘর্ষের ঘটনায় দুই গোষ্ঠীই থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই গ্রেফতারি।
ব্যাটারি কারখানার দখল নিয়ে চলতি সপ্তাহেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ ওঠে। এমনই পরিস্থিতি হয়েছিল, যা সামাল দিতে র্যাফ পর্যন্ত নামাতে হয়। জগদ্দল থানার বিশাল বাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে। বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে গ্রেফতারও হন দু’জন। পরে তাঁরা ছাড়াও পান। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে সঞ্জয় সিংকে আটক করা হয়। নোয়াপাড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে। সেখানেই গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।
শ্যামনগরের ওই ব্যাটারি কারাখানায় জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে সঞ্জয় সিংয়ের অনুগামী সংগঠনের কোন্দলের অভিযোগ ওঠে। যদিও সোমনাথ শ্যামের অভিযোগ ছিল, বিজেপির কিছু কর্মী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে কারখানায় অশান্তির চেষ্টা করছে। অন্যদিকে সঞ্জয় সিংয়ের অভিযোগ ছিল, সোমনাথ শ্যামের ভাই ওই ব্যাটারি কারখানায় ঠিকাদারি চালান। একইসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত সোমনাথ শ্যাম ও অর্জুন সিংয়ের সম্পর্ক যে খুব একটা অম্লমধুর নয়, সে কথা এলাকায় কান পাতলে শোনা যায়। এরইমধ্যে অর্জুনের ভাইপো গ্রেফতারের ঘটনা।
এ বিষয়ে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, পুলিশ পুলিশের মতো করে তদন্ত করছে। তবে অর্জুন সিং এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে এই ঝামেলা নিয়ে বৃহস্পতিবার বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “দলের অভ্যন্তরীন বিষয়ের কথা সংবাদমাধ্যমকে বলে নাকি?”