Abhishek Banerjee: বেনোজল বের করার নামই নবজোয়ার, রায়নায় বললেন অভিষেক

Manatosh Podder | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 14, 2023 | 8:04 PM

Purba Burdwan: একইসঙ্গে অভিষেক বলেন, বেশ কিছু গ্রামের জলসঙ্কট রয়েছে। আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে তার স্থায়ী সমাধান করা হবে। প্রাথমিকভাবে কয়েকটি টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করা হবে।

Abhishek Banerjee: বেনোজল বের করার নামই নবজোয়ার, রায়নায় বললেন অভিষেক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি ফেসবুক

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: রায়নার কাইতি মাঠের সভা থেকে নবজোয়ারের সংজ্ঞা শোনালেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রবিবার ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে রায়নায় সভা করেন তিনি। সেখানেই অভিষেক বলেন, “২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর বেনোজল ঢুকে গিয়েছিল দলে। সেই বেনোজল বের করার নামই নবজোয়ার। সেই বেনোজল চিহ্নিত করে বৃত্তের বাইরে রাখার নামই হচ্ছে তৃণমূলে নবজোয়ার। জোয়ার যখন আসে, নদীর পাড় থেকে আবর্জনা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তৃণমূলে জনজোয়ার সেই কর্মসূচি।” রায়না-২ ব্লকের এই সভা থেকে কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে বিজেপিকেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “কর্নাটকে বিজেপি সরকার গিয়েছে। দক্ষিণ ভারত থেকে বিজেপি মুছে গিয়েছে। শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোকাট্টা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।”

এদিনের সভা থেকেও কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন অভিষেক। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার (PMGSY) টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, এলাকায় কিছু রাস্তা খারাপের অভিযোগ করছিলেন গ্রামবাসী। গিয়ে দেখা গেল সেই রাস্তা প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার রাস্তা। কেন্দ্র এই রাস্তার জন্য ৬০ শতাংশ দেয়, রাজ্য দেয় ৪০ শতাংশ। কেন্দ্র সরকার সব টাকা আটকে রেখেছে।

একইসঙ্গে অভিষেক বলেন, বেশ কিছু গ্রামের জলসঙ্কট রয়েছে। আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে তার স্থায়ী সমাধান করা হবে। প্রাথমিকভাবে কয়েকটি টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করা হবে। এদিনও আরও একবার অভিষেককে বলতে শোনা গিয়েছে, সকলে যেন পঞ্চায়েত ভোটে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন। মেরুদণ্ড সোজা রেখে সেই অধিকার প্রয়োগের কথা বলেন তিনি।

বিভিন্ন জায়গায় জনসংযোগের সময় বহু সাধারণ মানুষ নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরছেন অভিষেকের কাছে। খুব মন দিয়ে সেসব কথা শুনে তা সমাধানেরও আশ্বাস দিচ্ছেন তিনি। এদিন অভিষেক বলেন, “মানুষের কাজ করতে রাস্তায় নেমেছি। মানুষ তাঁর সমস‌্যা যদি জানাতে চান আর সংবাদমাধ‌্যম যদি তাকে ক্ষোভ বলে আখ‌্যা দেয়, এরকম ক্ষোভের মুখে আমি রোজ ১০০ বার পড়তে রাজি আছি। মানুষের জন‌্য কাজ করতে আমি বদ্ধপরিকর। গণতন্ত্রে শাসক শেষ কথা বলে না। মানুষ বলে।”

Next Article