Balurghat: দণ্ডিকাণ্ডে এফআইআরে অভিযুক্ত ‘আননোন’, খুশি নয় রাজ্য মহিলা কমিশন

Rupak Sarkar | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Apr 11, 2023 | 6:24 AM

Balurghat: গত শুক্রবার তিন আদিবাসী মহিলা দণ্ডি কেটে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা এসে তৃণমূলে যোগ দেন। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে জেলার মহিলা নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর দিকে।

Balurghat: দণ্ডিকাণ্ডে এফআইআরে অভিযুক্ত আননোন, খুশি নয় রাজ্য মহিলা কমিশন
বালুরঘাটে মহিলা কমিশনের দল।

Follow Us

দক্ষিণ দিনাজপুর: দণ্ডি-বিতর্কে তৃণমূলের জেলা নেত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে পথে নেমেছে বিজেপি। শুধু সাংগঠনিক পদ থেকে সরানো নয়, প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সোচ্চার বিরোধীরা। এই অবস্থায় সোমবারই রাজ্য মহিলা কমিশন বালুরঘাটে যায়। তিন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে তাঁরা কথাও বলে। রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই ধরনের ঘটনার জন্য একজন মহিলা হিসাবে তিনি লজ্জিত। দণ্ডি কেটে তৃণমূলে যোগদান নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। এরই মধ্যে সোমবার বালুরঘাটে যান রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য সুজাতা পাকড়াশি লাহিড়ী। বালুরঘাট সার্কিট হাউসে ওঠেন তিনি। সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় দণ্ডি কাটানো তিন আদিবাসী মহিলাকে। তার আগে ওই তিনজনকে বালুরঘাট জেলা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে বিচারকের সামনে জবানবন্দি নেওয়া হয় তিনজনের। সার্কিট হাউসে গিয়ে রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য সুজাতা পাকড়াশি লাহিড়ীর সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ওই তিনজনের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নেন। গত শুক্রবার রাতে ঠিক কি ঘটনা ঘটেছিল, তাদের জোর করে দণ্ডি কাটানো হয়েছিল কি না, সবই শোনেন। সেই রিপোর্ট রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে পাঠানো হয়।

এদিকে তিন মহিলাকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় এদিন আদালত ও পরে সার্কিট হাউজে নিয়ে যাওয়া হয়। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনওরকম কথা বলতে চাননি তাঁরা। এদিকে দণ্ডি কাটানো তিন আদিবাসী মহিলার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন নীলা গঙ্গোপাধ্যায়। সরকারি নিয়ম মেনেই তা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ফোনে বলেন, “রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি বালুরঘাটে গিয়েছিলেন। ওই মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। আমরা পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। আমরা একটি সুয়োমোটো মামলাও করেছি। তাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছি। যে ঘটনা সকলেই জানে, তার বাইরে গিয়ে আর তো কিছু বলার নেই। খুবই খারাপ একটা ঘটনা ঘটেছে। একজন মহিলা হিসাবে আমি লজ্জিতই বোধ করছি। যে কোনও মানুষের সঙ্গেই এরকম ব্যবহার অন্যায়। আমার মনে হয় একটা নির্দিষ্ট এফআইআরও হওয়া উচিত ছিল। একটা এফআইআর হয়েছে। সেখানে অভিযুক্তকে আননোন দেখানো হয়েছে।”

গত শুক্রবার তিন আদিবাসী মহিলা দণ্ডি কেটে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা এসে তৃণমূলে যোগ দেন। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে জেলার মহিলা নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর দিকে। মহিলা সংগঠনের জেলা সভানেত্রী পদে ছিলেন প্রদীপ্তা। রবিবারই তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়। নতুন দায়িত্ব পান স্নেহলতা হেমব্রম।

Next Article