নয়া দিল্লি : করোনা পরিস্থিতিতে বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছিলেন। চাকরি থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে বেতনে প্রভাব পড়েছিল। কিন্তু, তুলনামূলকভাবে নিরাপদে ছিলেন আইটি বিভাগের কর্মীরা। আর আজ যখন করোনা পরিস্থিতি একটু একটু করে নিয়ন্ত্রণে আসছে, তখন আবার নতুন করে তৈরি হল উদ্বেগ। আইটি বিভাগ সম্পর্কিত যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে অন্তত তেমনটাই মনে করা হচ্ছে। শুধু ভারতে নয়, গোটা বিশ্বে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগে চাকরি করেন বহু মানুষ। টেক ক্রাঞ্চের একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র মে মাসেই গোটা বিশ্বে ১৫ হাজার আইটি কর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব জুড়ে অর্থনীতির যা অবস্থা, তারই প্রভাব পড়েছে তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। বিশেষত স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলির ওপর অনেক বেশি প্রভাব পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তার জেরেই চাকরি হারিয়েছেন বহু কর্মী। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০-র মার্চ মাস অর্থাৎ যখন থেকে কোভিডের প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল তখন থেকে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে শুধুমাত্র স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলি থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে মুদ্রাস্ফীতি, এমনই নানা কারণে এ ভাবে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
শুধু ছোটখাটো সংস্থাই নয়, বিশ্বে অনেক বড় বড় প্রযুক্তি নির্ভর সংস্থার ওপরেই প্রভাব পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফেসবুক, টুইটারের মত সংস্থা নতুন লোক নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। স্ন্যাপচ্যাটের তরফেও জানানো হয়েছে আয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো যাচ্ছে না বলেই নতুন নিয়োগ করছে না তারা। গত বৃহস্পতিবার ই কমার্স সংস্থা ভিটেক্স জানিয়েছে ১৯৩ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। পে পল নামক সংস্থারও একই অবস্থা। তাদের আমেরিকার হেডকোয়ার্টার থেকে বেশ কয়েকজনের চাকরি চলে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জনপ্রিয় গ্রসারি অ্য়াপ ‘গেটির’ একধাক্কায় ১৪ শতাংশ লোক কমিয়ে দিচে চাইছে। আর এক সংস্থা গোরিলা ৩০০ কর্মীকে ছাঁটাই করার কথা জানিয়ে দিয়েছে।
ভারতেও দেখা যাবে একই ছবি। কস্ট কাট অর্থাৎ টাকা কমানোর নামে অন্তত ৬ হাজার কর্মীর ছাঁটাই হয়েছে বলে দাবি রিপোর্টে। ফলে যে আইটি কোনও সংস্থার কর্মীরাই আশঙ্কায় ভুগছেন।