আমেরিকা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বুঝি এজন্যই লিখেছিলেন, “দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া”। আস্ত শহর অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার কারণ খুঁজতে যখন বিদ্যুৎদপ্তর তোলপাড় করছে মাইলের পর মাইল জুড়ে তখন সেই ‘কারণ’ লুকিয়ে খোদ দফতরেই।
শহরজুড়ে তোলপাড় তখন প্রায় শেষ। কিন্তু সমস্যা ধরতে গিয়ে ডাহা ফেল দফতরের তবড় তাবড় ইঞ্জিনিয়ররা। মাথায় হাত কর্তাদেরও। ঠিক তখনই এল ‘হিস… হিস…’ আওয়াজটা। এক কর্মীই শুনলেন প্রথমে। এরপর বিদ্যুৎ সরবরাহকারী যন্ত্র খুলে চক্ষুচড়ক কর্তাদের। ত্রুটির কারণ আস্ত একটি সাপ। বলা চলে তিনিই বিভ্রাটের নেপথ্য নায়ক। যিনি রীতিমত আসন গ্রহণ করেছেন সেই বক্সের ভিতর। দিশেহারা দফতর যেন কিছুটা দিশে পেল বটে। ব্যাস, এবার শুধু নিয়ম মেনে বন দফতরকে খবর দিয়ে দেওয়া হল। তারা এসে উদ্ধার করলেন সাপ বাবাজিকে।
ঘটনাটি আমেরিকার টেক্সাস শহরের। এক আধিকারিক ম্যাট মিশেল জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ দফতরের আশপাশে আগাছা এবং জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। সেখান থেকেই একটি সাপ এসে বিদ্যুত সরবরাহকারী একটি যন্ত্রে ঢুকে পড়ে। ফলে গোটা শহরের বিদ্যুৎ চলে যায়। ম্যাটের কথায়, “প্রথমে ভেবেছিলাম পাওয়ার গ্রিড বসে গিয়েছে। বা বড়সড় কোনও ত্রুটি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় লোক পাঠিয়ে ত্রুটি চিহ্নিত করার কাজ চলছিল। কিন্তু কোথাও তেমন কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ বা ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।”