রোম: সোশ্যাল মিডিয়ায় সবথেকে যে পশুর ভিডিয়ো জনপ্রিয়, তা হল বিড়াল। এই বিড়াল হতে চেয়েই নিজের শরীরে ২০টি পরিবর্তন ঘটিয়েছেন এক ২২ বছরের যুবতী। তিনি জানিয়েছেন, বিড়াল তাঁর অত্যন্ত পছন্দের প্রাণী। ইতালীয় এই যুবতীর নাম চিয়ারা দেল’আবেত। চিয়ারার মতে, বিড়ালের মতো চেহারায় তাঁকে খুব বোল্ড দেখাবে। তিনি জানিয়েছেন তিনি ‘ক্যাট লেডি’ হতে চান।
নিউইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মাত্র ১১ বছর বয়স থেকেই বিড়ালের মতো রূপ পাওয়ায় এই যাত্রা শুরু করেছিলেন চিয়ারা। ওই বয়সেই শরীরে প্রথম ফুটো করিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে, তাঁর শরীরে সব মিলিয়ে ৭২টি ছিদ্র রয়েছে। নাক ও জিভে ফুটো রয়েছে। উপরের ঠোঁটে ০.৮-সেন্টিমিটারের এবং নীচের ঠোঁটে একটি ১.৬ সেন্টিমিটারের ফুটো করিয়েছেন। এমনকি, যোনিপথের মুখেও ফুটো করিয়ে দুল পরেন চিয়ারা।
শুধু তাই নয়, চিয়ারার ব্লেফারোপ্লাস্টি সার্জারি করা হয়েছে। ব্লেফারোপ্লাস্টি সার্জারির মাধ্যমে চোখের পাতার পরিবর্তন করা হয়। এছাড়াও মাথায় চারটি শিং, যৌনাঙ্গে ছয়টি পুঁতি, চোখের মণিতে ট্যাটু, সূঁচল কান, স্থায়ী আইলাইনার, ধারালো নখের মতো বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটিয়েছেন তাঁর দেহে। বিড়ালের মতো দেখতে হওয়ার জন্য, এমনকি, তিনি তাঁর স্তনবৃন্তও অস্ত্রোপচার করে বাদ দিয়েছেন। মুখে ও শরীরে তিনি অনেক ট্যাটুও করিয়েছেন। তার মধ্যে কপালের উপর একটি ওম চিহ্নও রয়েছে।
চিয়ারা বলেছেন, “মানুষের শরীর কত পরিবর্তন করা যায় এবং শরীরে এই পরিবর্তনগুলি ঘটিয়ে যা অর্জন করা যায়, ভাবাই যায় না।” তবে, তাঁর মতে পুরোপুরি বিড়াল মানবী বা ক্যাট লেডি হয়ে ওঠার জন্য, তাঁর শরীরে এখনও অনেক পরিবর্তন ঘটানো বাকি। তিনি জানিয়েছেন, আরও দীর্ঘ এবং আমন্ডের মতো আকৃতির চোখ, বিড়ালের মতো দাঁত, উপরের ঠোঁট কাটার মতো পরিবর্তন করতে চান তিনি। এছাড়া, বিড়াল মানহী হতে একটি লেজও প্রয়োজন তাঁর। আর অবশ্যই শরীরে আরও আরও ট্যাটু করাতে চান তিনি। আর এই পরিবর্তনগুলো করতে গিয়ে, শরীরে যে ব্যথা লাগবে, তার জন্যও তিনি ভাবিত নন। কারণ এতদিনে সেই ব্যথা সহ্য করা অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।
এর আগেও অবশ্য দেখা গিয়েছে যে মানুষ পশুর মতো রূপ পেতে চায়। কয়েক মাস আগে জাপানের এক ব্যক্তি বিপুল অর্থ খরচ করে কুকুরের মতো একটি পোশাক তৈরি করিয়েছিলেন। টোকো নামের ওই ব্যক্তি কুকুর হতে চেয়েছিলেন। আর সেই কারমেই তিনি ওই পোশাকটি তৈরি করিয়েছিলেন। ওই বিশেষ পোশাক পরার পর, তাঁকে দেখে আসল কুকুর বলেই মনে হচ্ছিল। তবে, পরে তিনি জানান, সারা জীবন তিনি কুকুর হয়ে থাকতে চান না। এটা শুধুমাত্র একটা শখ ছিল।