Bizarre: কফিনের মধ্যেই উঠে বসল ৩ বছরের মেয়ে! হইচই কবরস্থানে, তার পর…
Coffin: কফিন বন্দি করে কবর দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয় কামিলার দেহ। তখন কামিলার দিদা দেখতে পান কফিনের মধ্যে থেকেই তাকাচ্ছে কামিলা।
মেক্সিকো সিটি: প্রবল পেটে ব্যথা হওয়ায় হাসপাতালে যাওয়া হয়েছিল তিন বছরের মেয়েটিকে। কিন্তু চিকিৎসকদের ওষুধেও কমেনি পেটে ব্যথা। বমিও বন্ধ হয়নি। এ হাসপাতাল থেকে সে হাসপাতাল গিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। অবশেষে একটি হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয় ওই বাচ্চাকে। তখন কবর দেওয়ার জন্য কফিনবন্দি করা হয় তার দেহ। কবরস্থলে যখন কবর দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে, তখনই কফিনের মধ্যে থেকেই নড়ে ওঠে বাচ্চা মেয়েটি। পরিবারের লোকেরা তা দেখে তো হতবাক। তড়িঘড়ি কফিন থেকে বের করে দেখা যায়, নাড়ীর স্পন্দন বজায় রয়েছে। এর পরই অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন ফের তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনা ঘিরে চিকিৎসা পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। মেয়ের মৃত্যুর পর বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন মা। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকোতে।
জানা গিয়েছে, ৩ বছরের মেয়েটির নাম কামিলা রোক্সানা মার্টিনেজ। মেক্সিকোর ভিলা দি রামোসের বাসিন্দা সে। ব্রিটিশ সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে, ১৭ অগস্ট প্রবল পেটে ব্যথা শুরু হয় কামিলার। তখন তাকে নিয়ে সান লুইস পোতোস হাসপাতালে যান কামিলার মা মেরি জানে মেন্ডোজা। সেখানে এক দিন ভর্তি ছিল ৩ বছরের কামিলা। এর পর ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় কামিলাকে। কিন্তু বাড়ি এসেও বমি হওয়া কমেনি। জ্বরও আসতে শুরু করে। এর পর অন্য এক চিকিৎসককে দেখানো হয় তাঁকে। তিনি আগের প্রেসক্রিপশন বাতিল করে ফল এবং জল খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু তাতেও বমি বন্ধ না হওয়ায় কামিলাকে সালিনাস দি হিদালগো কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই এক দিন ভর্তি থাকার পর মৃত ঘোষণা করা হয়। জানানো হয় ডিহাইড্রেশনের জন্যই মৃত্যু হয়েছে।
তখন কফিন বন্দি করে কবর দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয় কামিলার দেহ। তখন কামিলার দিদা দেখতে পান কফিনের মধ্যে থেকেই তাকাচ্ছে কামিলা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে সেখান থেকে বের করা হয়েছিল। অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে শারীরিক পরীক্ষার পর ফের মৃত ঘোষণা করা হয় ওই বাচ্চাকে।
এই ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ কামিলার মা মেরি। তিনি বলেছেন, “আমি এই ঘটনার বিচার চাই। যে চিকিৎসকরা এ রকম করলেন তাঁদের শাস্তি চাই। তাঁদের গাফিলতিতেই আমি আমার মেয়েকে হারিয়েছি।” সেখানকার প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনা নিয়েও তদন্ত শুরু করা হয়েছে।