AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pakistan Train Hijack Latest Update: একটা ট্রেন, ভিতরে শয়ে শয়ে পণবন্দি আর তাদের কপালে ট্রিগার চেপে থাকা জঙ্গিরা! ৩০ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে কী কী হল?

Baloch Liberation Army: মঙ্গলবার পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করে নেয় বালুচ লিবারেশন আর্মি। প্রথমে বিস্ফোরণে ট্রেনের লাইন উড়িয়ে দেয়। এরপর ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়লে, জঙ্গিরা ট্রেনে উঠে ভিতরে থাকা ৪৫০ জন যাত্রীকে পণবন্দি করে।

Pakistan Train Hijack Latest Update: একটা ট্রেন, ভিতরে শয়ে শয়ে পণবন্দি আর তাদের কপালে ট্রিগার চেপে থাকা জঙ্গিরা! ৩০ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে কী কী হল?
পাহাড়ের কোলে অপহৃত আস্ত একটা ট্রেন।Image Credit: X
| Updated on: Mar 13, 2025 | 6:48 AM
Share

ইসলামাবাদ: ৩০ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান। অবশেষে পাকিস্তানে ছিনতাই হওয়া ট্রেন থেকে উদ্ধার ৩৪০ জন যাত্রী। গুলির লড়াইয়ে ২৭ জন কর্মরত পুলিশের মৃত্যু হয়েছে। নিকেশ করা হয়েছে ৩০ জন জঙ্গিকেও। এদিকে, বালুচ লিবারেশন আর্মি এখনও দাবি করছে, তাদের কাছে ১৫০ জন পণবন্দি রয়েছে। তবে পাকিস্তানি সেনা ও সরকার সেই দাবি নস্যাৎ করছে।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করে নেয় বালুচ লিবারেশন আর্মি। প্রথমে বিস্ফোরণে ট্রেনের লাইন উড়িয়ে দেয়। এরপর ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়লে, জঙ্গিরা ট্রেনে উঠে ভিতরে থাকা ৪৫০ জন যাত্রীকে পণবন্দি করে। তারপর থেকেই অভিযান শুরু। মঙ্গলবারই প্রায় কয়েকশো যাত্রীকে ছেড়ে দেয় বালুচ জঙ্গিরা। বাকি যাদের বন্দি করে রেখেছিল, তাদের উদ্ধারের জন্য অভিযান চলছিল। অবশেষে তা শেষ হল। নিরাপদভাবেই উদ্ধার করা হল বন্দি থাকা ৩৪০ জনকে।

পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, অভিযানের সময় অনেক জঙ্গিরা পালানোর চেষ্টা করছিল, কিন্তু সেনাবাহিনীর কাছে শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করে। সেনাবাহিনী কোনও যোদ্ধাকে জীবিত রাখেনি। সকলকে হত্যা করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে এই অভিযানে কোনও নিরীহ নাগরিক নিহত হয়নি।

সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, জঙ্গিরা পণবন্দিদের কয়েকটি দলে বিভক্ত করে রেখেছিল, যার ফলে অভিযান আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছিল। তবে জঙ্গিরা অভিযানের সময় কোনও আত্মঘাতী বিস্ফোরণের সুযোগ পায়নি। নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা এবং কৌশলের কারণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

বালুচ লিবারেশন আর্মির বড় দাবি

এদিকে, বালুচ লিবারেশন আর্মি দাবি করেছে যে ১৫০ জনেরও বেশি পাকিস্তানি নাগরিক এখনও তাদের হেফাজতে রয়েছে। জাফর এক্সপ্রেসে হামলার পর বিএলএ-এর পক্ষ থেকে এই বিবৃতি এসেছে। বিএলএ-এর দাবি, ৪০ জন পাকিস্তানি সেনা এবং ৬০ জন পণবন্দি মারা গিয়েছে। তবে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং সরকার এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেনি। সেনাবাহিনী বলছে যে সমস্ত সন্ত্রাসীকে নির্মূল করা হয়েছে, কিন্তু বিএলএর এই নতুন বিবৃতি একটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

জাফর এক্সপ্রেসে সন্ত্রাসবাদী হামলার বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতির সাথে কথা বলেছেন। এই আক্রমণকে অত্যন্ত ঘৃণ্য বলে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে এই কাপুরুষোচিত কর্মকাণ্ডে সমগ্র জাতি হতবাক, কিন্তু এতে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি পাকিস্তানের অঙ্গীকার দুর্বল হবে না। হামলায় নিহত নিরীহ নাগরিক এবং নিরাপত্তা কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার লড়াই আরও জোরদার করবে।