জাপান: জাপানের ভূখণ্ডে গিয়ে পড়ল চিনা মিসাইল। বৃহস্পতিবার জাপানের স্পেশাল ইকোনমিক জ়োনের মধ্যে গিয়ে পড়েছে পাঁচটি চিনা মিসাইল। মার্কিন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান যাওয়ার পর থেকে সেখানে এক তপ্ত বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। তাইওয়ানের সীমান্ত বরাবর চিনা সামরিক বাহিনীর মহড়া বেড়ে গিয়েছিল। আর ঠিক এমনই এক সময়ে জাপানের স্পেশাল ইকোনমিক জ়োনের মধ্যে গিয়ে পড়ল পাঁচটি ব্যালিস্টিক মিসাইল। ন্যান্সি পেলোসি বর্তমানে জাপানে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে জাপানের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে পাঁচটি মিসাইল গিয়ে পড়া কি নিছকই দুর্ঘটনা? উত্তর খুঁজছে কূটনৈতিক মহল।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিশি জানিয়েছেন, চিনের এই পদক্ষেপের জন্য জাপান সরকার কূটনৈতিক স্তরে বেজিংয়ে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঘটনার পর দ্রুত এক সাংবাদিক বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেখানে কিশি বলেছেন, “এটি একটি গুরুতর সমস্যা যা আমাদের দেশের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনগণের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত এবং যথেষ্ট উদ্বেগজনক।” কিশি জানিয়েছেন, ” চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের থেকে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছিল যে তারা তাইওয়ানের উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণের জলভাগে ১১টি ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু তারপর এই অমিলের কারণ কী, তা এখনও পরিষ্কার হয়নি।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতেই চিনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, মার্কিন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে সফরের পাল্টা হিসেবে তারা ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করবে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু বড় সামরিক অনুশীলন চালানোর বার্তাও দিয়েছিল চিন। প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেই মনে করে চিন। এমন পরিস্থিতিতে ন্যান্সি পোলেসি তাইওয়ান সফর মোটেই ভালভাবে নেয়নি চিন। জাপানে বর্তমানে রয়েছেন ন্যান্সি পেলোসি। এমন পরিস্থিতিতে সে দেশের এই স্পেশাল ইকোনমিক জোনে চিনের মিসাইল এসে পড়া স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।