Earthquake: মাঝরাতে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প আফগানিস্তানে, মৃত ৮০০ জনের বেশি
Afghanistan Earthquake: আফগানিস্তানে জোরাল ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬। জালালাবাদের উত্তর-পূর্বে ২৭ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের মূলকেন্দ্র ছিল। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎসস্থল ছিল।

নয়া দিল্লি: আবার ভূমিকম্প। এবার ভূমিকম্পের মাত্রা ৬। জোরাল ভূমিকম্প আফগানিস্তানে। আর তার জেরেই কাঁপল দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চলগুলিও। আফগানিস্তানে কমপক্ষে তিনবার কম্পন অনুভূত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ভূমিকম্পে ৮০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত ১৩০০-রও বেশি মানুষ।
আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার, (১ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানে জোরাল ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬। জালালাবাদের উত্তর-পূর্বে ২৭ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের মূলকেন্দ্র ছিল। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎসস্থল ছিল। রাত ১২টা ৪৭ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়।
আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, কুনার প্রদেশের তিনটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নুরগাল, চৌকি, ওয়াতাপুর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
২০ মিনিট পরই, ফের একটি জোরাল কম্পন অনুভূত হয়। এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৫। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে এর উৎসস্থল ছিল। আফগানিস্তানের এই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৮০০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত ১৩০০ জনেরও বেশি। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আফগানিস্তান জুড়ে। ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়িঘর।
A magnitude 6.2 earthquake struck southeastern Afghanistan on Sunday, August 31, 2025. The epicenter was located 25 kilometers southwest of Asadabad city in Kunar province.
I hope that one day this pain, which takes its toll on our nation in various ways, will end. pic.twitter.com/5oFqc32YpV
— Political Base Abdul Maroof Azadmanish (@PoliticalBaseMA) August 31, 2025
এদিকে, আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের জেরে পাকিস্তান ও উত্তর ভারতেও কম্পন অনুভূত হয়। দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বেশ জোরাল কম্পন অনুভূত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। বাড়িগুলি থরথর করে কাঁপতে শুরু করে। বাসিন্দারা আতঙ্কে মধ্য রাতে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই আফগানিস্তান ও সংলগ্ন হিমালয় অঞ্চলে ঘনঘন ভূমিকম্প হচ্ছে, যা ভূ-বিজ্ঞানীদের যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান প্লেটের মধ্যে ক্রমাগত ঘর্ষণের কারণে ঘনঘন কম্পন অনুভূত হচ্ছে। ফল্ট লাইন থাকায় এখানে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আরও বেশি।
