লাগোস: বন্যায় ছাপিয়ে গিয়েছে নদী। সেই নদীতেই নৌকায় চড়েছিলেনে প্রায় ৮৫ জন। নৌকাযাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে। নাইজেরিয়ার আনামব্রা রাজ্যে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি রবিবার এই দুর্ঘটনার কথা জানিয়েছেন। শুক্রবার নিগার নদীতে ওই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বুহারি বলেছেন, “ওগবারু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি হওয়ায় নৌকা করে প্রায় ৮৫ জন যাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নৌকাডুবির ঘটনায় ৭৬ জন মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে জরুরিকালীন সার্ভিসের দল।” মৃতদের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, “এই দু্র্ঘটনা দুর্ভাগ্যের। মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তাঁরা সুস্থ থাকুক এই কামনা করি।”
নাইজেরিয়ার ন্যাশনাল এমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির কোঅর্ডিনেটর থিকম্যান থানিমু সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, “বন্যার জেরে নদীর জলস্তর অনেক বেড়ে গিয়েছে। উদ্ধারকাজ চালাতে সমস্যা বেড়েছে।” এই রকম ভয়াবহ বন্যা গত কয়েক বছরে নাইজেরিয়ায় হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। এক দশক আগে হওয়া বন্যার থেকেও জলস্তর বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ওই অফিসার। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারের জন্য নাইজেরিয়ান এয়ার ফোর্সের বিমান ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নাইজেরিয়ার আনাব্রা প্রদেশের গভর্নর চালর্স সোলুদো সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। বন্যাদুর্গতদের সরকারের তরফে ত্রাণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। নৌকাডুবির ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে নাইজেরিয়ায়। অতিরিক্ত যাত্রীবহন, দ্রুতগতিতে যাওয়া, নৌকার রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়া এই সব দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। কিন্তু বন্যার জেরে এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়েছে আগের সব ঘটনাকে। এমার্জেন্সি সার্ভিসের দেওয়া তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক বন্য়ায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এক লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন।