কলোম্বো: দেশের আর্থিক সঙ্কট চরম অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। জ্বালানির লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অপ্রতুলতা, ওষুধের অভাবে শ্রীলঙ্কার মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। জনরোষ থেকে বাঁচাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন মাহিন্দা রাজাপক্ষ। রনিল বিক্রমসিংঘে ইতিমধ্যেই দ্বীপরাষ্ট্রের নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শুক্রবার এই কঠিন সময়ে দেশের হাল ধরার জন্য শ্রীলঙ্কাতে ৯ জনকে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। যতদিন না দেশে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা শপথ নিচ্ছে, ততদিন এই মন্ত্রীরা দেশের আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলায় কাজ করবেন বলেই জানা গিয়েছে। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায় রাজপক্ষ সকলকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী নির্মল সিরিপালা ডি সিলভা, নির্দল সাংসদ সুশীল প্রেমজয়ন্তা, বিজয়দাসা রাজাপক্ষ, তিরান অ্যালেস নয়া মন্ত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুখ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শ্রীলঙ্কার নয়া ক্যাবিনেটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মিলিয়ে সদস্য সংখ্যা কোনওভাবেই ২৫ জনের বেশি হবে না।
কে কোন দফতরের দায়িত্বে?
newsfirst.lk প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই মন্ত্রিদের দফতর বন্টনের কাজও হয়ে গিয়েছে। কে কোন দফতরের দায়িত্ব পেলেন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক…
প্রসঙ্গত ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম এমন ভয়াবহ আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি ভারতের এই প্রতিবেশী দেশ। মূলত বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কটের কারণে দেশের এমন আর্থিক দুরাবস্থা নেমে এসেছে। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির ফলে খাদ্য, জ্বালানির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আমদানি করতে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। লাগাতার এই পরিস্থিতি চলতে থাকার কারণে দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। এখন নতুন মন্ত্রিসভা পরিস্থিতির সঙ্গে কী ভাবে মোকাবিলা করে, সেটাই দেখার।