Brazilian Footballer: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে মহাত্মা গান্ধী! বল পায়ে ভেলকি দেখাচ্ছেন মিডফিল্ডে
রিও ডি জেনেরো: ফুটবলে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ব্রাজিলের আনাচে কানাচে, অলিতে গলিতে ফুটবল। এই অলি গলি থেকেই একসময় উঠে এসেছেন পেলে, রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহো, রবার্টো কার্লোস, নেইমাররা। কিন্তু জানেন কি ব্রাজিলে ফুটবল পায়ে এখনও ভেলকি দেখাচ্ছেন মহাত্মা গান্ধী? না, এ কোনও গল্প কথা নয়। একেবারে সত্যি। তবে ইনি ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গান্ধী নন। ইনি ব্রাজিলিয়ান […]
রিও ডি জেনেরো: ফুটবলে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ব্রাজিলের আনাচে কানাচে, অলিতে গলিতে ফুটবল। এই অলি গলি থেকেই একসময় উঠে এসেছেন পেলে, রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহো, রবার্টো কার্লোস, নেইমাররা। কিন্তু জানেন কি ব্রাজিলে ফুটবল পায়ে এখনও ভেলকি দেখাচ্ছেন মহাত্মা গান্ধী? না, এ কোনও গল্প কথা নয়। একেবারে সত্যি। তবে ইনি ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গান্ধী নন। ইনি ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। ক্লাব ফুটবল খেলেন। নাম মহাত্মা গান্ধী। পুরো নাম মহাত্মা গান্ধী হেবেরপিও ম্যাত্তোস পিরেজ়। ব্রাজিলের ত্রিনডেদ ক্লাবের হয়ে খেলেন ৩১ বছর বয়সি এই মিডফিল্ডার।
২০১১ সাল থেকে পেশাদারি ফুটবলে কেরিয়ার শুরু। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে ব্রাজিলে ক্লাব ফুটবল খেলছেন তিনি। কেরিয়ারের শুরু হয়েছিল অ্যাটলেটিকো ক্লাব গোইয়ানিয়েন্সের সঙ্গে। এখন খেলেন ত্রিনডেদের হয়ে। তবে শুধু ইনি একাই নন, আরও অনেক এমন বিশ্বখ্যাত মানুষের নাম আছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে। ব্রিটেনের দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, একজন ফুটবলারের নাম জন লেনন সিলভা স্যান্টস। বিটলসে জন লেননের নাম থেকে তাঁর নাম রাখা হয়েছিল। আবার অন্য একটি ফুটবল ক্লাবে এক ফুটবলারের নাম পিকাচু। এমন বিভিন্ন নাম রয়েছে ব্রাজিলের ঘরোয়া ফুটবলে।
উল্লেখ্য, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অহিংস আন্দোলনের পথ দেখিয়েছিলেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী। তাঁর সত্যাগ্রহ আন্দোলন গোটা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতাবাদের ভিত টলিয়ে দিয়েছিল। শুধু ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন সূত্রে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হচ্ছে, ১৮৯৩ থেকে ১৯১৫ সালে যখন মহাত্মা গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলেন, তখন সেখানে তিনটি ফুটবল টিম তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। জোহানসবার্গ, প্রিটোরিয়া ও ডারবানে তিনটি ফুটবল ক্লাব তৈরি করেছিলেন গান্ধী।