লন্ডন: ব্রিটিশ রাজ পরিবারের অনেক তথ্যই আজও অজানা। এত বছর পর আজও অনেক পুরনো রীতি চালু আছে বাকিংহাম প্যালেসে। রানির মৃত্যুর পর রাজা হয়েছেন তৃতীয় চার্লস। আর তাঁর অভিষেক উপলক্ষে যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে দেখা যায় এমন এক অতিথিকে, যার ভূমিকা কী, তা নিয়ে কৌতূহল প্রকাশ করেন অনেকেই। অতিথির গায়ের রঙ সাদা, গায়ে চড়ানো মিলিটারি পোশাক। তবে মানুষ নয়, এক ছাগলকে এমন বেশ দেখে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে কৌতূহল।
জানা গিয়েছে, অতিথির নাম ‘শেনকিন’। ব্রিটিশ সেনার একটি রেজিমেন্ট রয়্যাল ওয়েলশের ম্যাসকট এই ‘শেনকিন’। গত রবিবার রাজার অভিষেক উপলক্ষে সিটি হল থেকে ক্যাসল পর্যন্ত কুচকাওয়াজ করে এগিয়ে যায় রয়্যাল ওয়েলশের ২৬ জন সদস্য। আর সঙ্গে ছিল এই ‘শেনকিন’। পৃথক রেজিমেন্টের ম্যাসকটের আলাদা আলাদা নাম।
ছাগল হলেও, শুধুমাত্র যে তার নামকরণ করা হয়েছে তাই নয়, রেজিমেন্টের অন্যান্য
সদস্যদের মতো রয়েছে তার পদ, বেতন সবই। বর্তমানে যে ‘শেনকিন’, তার পদ হল ল্যান্স কর্পোরাল। ছাগল ওরফে ওই ম্যাসকটের যেমন পদোন্নতি হয়, অবনতিও হয়, একেবারে অন্য কর্মীর মতোই। বেতনও দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। ছোট থেকে তাদের দেওয়া বিশেষ প্রশিক্ষণ, যাতে তারা রেজিমেন্টের অংশ হতে পারে।
এর আগে যে ম্যাসকট ছিল, খারাপ ব্যবহারের কারণ দেখিয়ে তাকে পদচ্যুত করা হয়েছিল। শুধু বেতন নয়, ওই ম্যাসকটের জন্য থাকে সব বিলাসবহুল ব্যবস্থা। থাকে ইউনিফর্ম, থাকে বিশেষ খাবার, থাকার জায়গা। ছাগলটিকে দেওয়া হয় একটি সোফা, একটি রেডিও। একসময় নাকি ওই ছাগলকে দিনে দুটো সিগারেট খেতে দেওয়া হত, পরে অবশ্য সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ছোট থেকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাদের। ছাগলের মৃত্যু হলে আবার একটি ছোট ছাগলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ম্যাসকটের মৃত্যু হলে, সে কথা লিখে জানাতে হয় রানি বা রাজাকে। জানা যায়, এই ম্যাসকট রাখার রীতি রয়েছে ১৭৭৫ সাল থেকে।