নয়াদিল্লি: বাংলাদেশ ভারতের টানাপোড়েনের মাঝে পদ্মা পাড়ের দেশের হাই কমিশনারকে চিঠি এক দল বুদ্ধিজীবীর। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেই নয়াদিল্লিতে উপস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনার অফিসে খোলা চিঠি পাঠাল প্রাক্তন বিচারপতি-সহ কূটনীতিক, উপাচার্য ও সেনা আধিকারিকের একটি দল।
কী রয়েছে সেই চিঠিতে?
বাংলাদেশের পালাবদল, আন্দোলনের ছত্রছায়ায় সরকার ফেলা থেকে শুরু করে সেদেশের সংখ্য়ালঘুদের উপর অত্য়াচার, প্রতিটি বিষয় নিয়েই আশঙ্কা প্রকাশ এই বুদ্ধিজীবী দলের। এমনকি, নিউ ইয়র্কে জনসমক্ষে বাংলাদেশে হওয়া ছাত্র আন্দোলনকে ‘সুপরিকল্পিত’ তকমা দেওয়ার প্রসঙ্গটি তুলে ধরা হয় এই চিঠিতে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বাড়তে থাকা নৈরাজ্য ও মৌলবাদ নিয়ে মুখ খোলেন তাঁরা। ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরই যে পদত্যাগের ঝড় উঠেছিল সেই বিষয়টিও তুলে ধরা হয় এই চিঠিতে। গুরুত্ব দেওয়া মৌলবাদকেও। তাঁদের দাবি, ‘গত চার মাস ধরে, দেশের প্রতিটি কোণায় ভাঙচুর থেকে নির্যাতন চালাচ্ছে মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠনগুলি। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বাড়ি ভাঙচুর, মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন, হত্যা সব মিলিয়ে নৈরাজ্য তৈরি করেছে এই সংগঠনগুলি।’
মৌলবাদকে হাতিয়ার করে কার্যত ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তারা। বলেন, ‘দেশের মধ্যে চলা প্রতিটি অত্যাচার-নির্যাতনের ঘটনার যথাযথ সাক্ষ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাঠানো এই চিঠিতে সাক্ষর করেছেন মোট ৬৮৫ জন। যাদের মধ্যে ১৯ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, ১৩৯ অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক, ৩০০ জন উপাচার্য, প্রায় ২০০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক।
প্রসঙ্গত, পালাবদলের পর থেকেই বাংলাদেশের অন্দরে বেড়েছে অচলাবস্থা। নৈরাজ্য-সন্ত্রাস সব মিলিয়ে নতুন বাংলাদেশকে দেখল বিশ্ব। অবশ্য পদ্মা পাড়ের দেশে মধ্যে চলা অশান্তির আঁচ যে ভারতেও পড়েছে এই নিয়ে কোনও ধন্দ নেই। সম্প্রতি, এই প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি। সংখ্যালঘুদের উপর চলা নির্যাতনের প্রসঙ্গে ঢাকা সাফ বার্তা দেয় বিদেশসচিব।