জাকার্তা: পাশের বাড়ির পোষ্য বিড়ালটি গর্ভবতী ছিল। তাকে এবং তার গর্ভে থাকা অজাত বিড়ালছানাগুলিকে হত্যা করে, তাদের মাংস রান্না করে খাওয়ার অভিযোগ উঠল ইন্দোনেশিয়ার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, তার নাম রহমত ধানি, বয়স ২৬। এখনও পড়াশোনার পর্ব শেষ হয়নি তার। সে তাঁর অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে। তার দাবি, কৌতুহল বশতই সে এই জঘন্য কাজ করেছে। তার স্বীকারোক্তি পাওয়ার পরই, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
ইন্দোনেশিয়ার উত্তর বেংকুলু পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখার প্রধান তেগুহ আরি আজি জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ সেপ্টেম্বর। রহমত ধানি জানিয়েছে, ওই দিন দুপুর ১টা নাগাদ সে বাড়িতে একা ছিল। তার খুব খিদে পেয়েছিল। সেই সময়ই তার চোখে পড়েছিল প্রতিবেশিদের পোষা বিড়ালের উপর। সে ওই পোষ্যটিকে ধরে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে জবাই করে। তারপর চামড়া ছাড়িয়ে তার মাংস ভাজা করেছিল। রহমত ধানির দাবি, “খিদেয় আমার গোটা শরীর কাঁপছিল। বিড়ালটিকে খাওয়ার পর আমার শরীরে আবার শক্তি ফিরে এসেছিল।”
শুধু গর্ভবতী বিড়ালটিকে এবং তার পেট কেটে বের করা তিনটি ভ্রূণকে প্যান-ফ্রাই করে খাওয়াই নয়, ধানি এমনকি তার এই জঘন্য কাজের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছিল। বেশ কয়েকটি ছবি দিয়ে সে লিখেছিল, “আজ সকালে আমার প্রাতঃরাশ হল লঙ্কা দিয়ে পাশের বাড়ির পোষা বিড়াল ভাজা।” সে আরও লিখেছিল, বিড়ালটির শুধুমাত্র উরুর মাংসই সে রান্না করেছে। পাঁজরের মাংস সে বাদ দিয়েছে। কারণ “সেখানে মাংসের চেয়ে হাড় বেশি”। এই জঘন্য কাজটি করতে করতে সে আবার ঈশ্বরকেও ডেকেছিল।
এক স্থানীয় ব্যক্তি অনলাইনে এই ভয়ঙ্কর কাজটি সম্পর্কে জানতে পেরছিলেন। তিনিই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। উত্তর বেংকুলু পুলিশ জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ধানিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, নিজের সে যে অপরাধ করেছে, সেই বোধই তার মধ্যে দেখা যায়নি।