কাবুল: প্রকাশ্যে খুন হলেন আফগানিস্তানের (Afghanistan) প্রাক্তন মহিলা সাংসদ। গুলি করে হত্যা করা হয় আফগানিস্তানের প্রাক্তন সাংসদ মুর্শল নাবিজ়াদা (Mursal Nabizada) ও তাঁর দেহরক্ষীকে। জানা গিয়েছে, শনিবার অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন হামলাকারী ওই প্রাক্তন সাংসদের কাবুলের (Kabul) বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে তাঁকে ও তাঁর দেহরক্ষীকে খুন করা হয়। তালিবানের (Taliban) ক্ষমতা দখলের পর হাতে গোনা যে কয়েকজন মহিলা সাংসদ কাবুলে থেকে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মুর্শল নাবিজ়াদা। ২০২১ সালে তালিবানের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম পূর্ববর্তী সরকারের কোনও সাংসদকে গুলি করে হত্যা করা হল।
সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৩টে নাগাদ কাবুলে মুর্শল নাবিজ়াদার বাড়িতে ঢুকে পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা। সেই সময় নাবিজ়াদা ও তাঁর দেহরক্ষী তাঁর বাড়ির একতলার একটি ঘর, যা অফিস হিসাবে ব্যবহার করতেন, সেখানে ছিলেন। তাঁদের দুইজনকেই গুলি করে হত্যা করে হামলাকারীরা। গুলি চালানো হয় নাবিজ়াদার ভাই ও আরেক নিরাপত্তারক্ষীর উপরেও। তাঁরা দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তৃতীয় দেহরক্ষী টাকা ও গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়।
আফগান পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কারা হামলা করেছে বা হামলার উদ্দেশ্য কী, সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
A true trailblazer – a strong, outspoken woman who stood for what she believed in, even in the face of danger. Despite being offered the chance to leave Afghanistan, she chose to stay and fight for her people. We have lost a diamond, but her legacy will live on. Rest in peace. https://t.co/g0HjMPicl5
— Mariam Solaimankhil (@Mariamistan) January 15, 2023
প্রাক্তন সাংসদ মারিয়াম সোলাইমানখিল টুইটারে নাবিজ়াদার মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে লেখেন, “নাবিজ়াদা আফগানিস্তানের একজন নির্ভীক, স্পষ্টভাষী মানুষ ছিলেন। বিপদের মুখে দাঁড়িয়েও তিনি ভয় পেতেন না। একাধিকবার আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার সুযোগ পেলেও, তিনি দেশে থেকে নিজের মানুষের জন্য লড়াই করাকেই বেছে নিয়েছিলেন।”
জানা গিয়েছে, নাবিজ়াদা (৩২) আফগানিস্তানের নানঘরকর প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি কাবুল থেকে নির্বাচনে জয়ী হন এবং তালিবান ক্ষমতা দখল করা অবধি সাংসদ ছিলেন। তিনি আফগানিস্তানের সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিশনেরও সদস্য ছিলেন।