বেজিং: মাঝে একটু থিতু হলেও ফের ভয় বাড়াচ্ছে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever)। নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে চিন ও ভিয়েতনামে। সংক্রমণের ঢেউ উঠেছে চিন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশগুলিতে সংক্রমণের ফলে আইসোলেশনের পথে হাঁটা হচ্ছে। আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার একটি মারণ রোগ। যা শূকরের শরীরে ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে এশিয়ায় এর আগে এক সময় বহু সংখ্যক শূকরের মৃত্যু হয়েছিল। যার ফলে গোটা এশিয়া জুড়ে শূকরের মাংসের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল।
তবে এই রোগ মানুষের শরীরে ছড়িয়েছে, এমন ঘটনা এখনও চিকিৎসকদের নজরে আসেনি। তবে সম্প্রতি বার্ড ফ্লুর একটি স্ট্রেনের মানবদেহে ছডি়য়ে পড়ার ঘটনা সম্পর্কে জানা গিয়েছে। যদি আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার আবার বড় আকার ধারণ করে তাহলে জৈব নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠতে পারে, এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিন– বিশ্বের অধিকাংশ শূকরই রয়েছে চিনে। তাই আফ্রিকান সোয়াই ফিভার ছড়াতে শুরু করলে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে বেজিং। আর সেরকমই সংক্রমণ দ্রুততা পাবে চিন থেকেই। সেই আবহে ২০১৮ সালের পর প্রথম আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার ছড়াতে শুরু করেছে চিনে। হেনান, সিচুয়ান, ইউনান ও জিনজিয়াংয়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের হদিশ মিলেছে হংকংয়েও।
ভিয়েতনাম– ভিয়েতনামেও ছড়াতে শুরু করেছে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার। সে দেশের কৃষিমন্ত্রক অনুযায়ী, দেশের ২০টিরও অঞ্চলে ছড়াতে শুরু করেছে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার। তবে সে দেশের প্রশাসন জানিয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
মালয়েশিয়া– সে দেশেও দ্রুত ছড়াচ্ছে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার। সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসায়িক শূকর বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে সে দেশের প্রশাসন।
আরও পড়ুন: জুড়বে ভারত-বাংলাদেশ, মঙ্গলবার ত্রিপুরায় একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মোদী