ওয়াশিংটন: চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। পায়ের নীচে নেই মাটি। মহাকাশে বিরাট কাণ্ড ঘটালেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। মহাকাশেই হেঁটে দেখালেন তিনি। এদিন সুনীতার সেই হাঁটার ফুটেজ সরাসরি সাধারণের কাছে তুলে ধরে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
কিন্তু মহাকাশযানের মধ্যে থেকে বেরিয়ে হঠাৎ করে কেন মহাশূন্যে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? জানা গিয়েছে, নিউট্রন স্টার ইন্টেরিয়র কম্পোজিশন এক্সপ্লোরার এক্স-রে টেলিস্কোপ সারাইয়ের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য নিজের স্টেশনের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। তবে শুধুই সারাইয়ের কাজ নয়। এর পাশাপাশি শক্তিশালী সেই টেলিস্কোপ দিয়ে মহাকাশের বাইরের নানা ছবিও তুলবেন তিনি।
২০২৩ সাল থেকেই একাধিক যান্ত্রিক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এই টেলিস্কোপে। যার জেরে সরাসরি সূর্যরশ্মির প্রকোপে পড়ে ক্ষতি হচ্ছে থার্মাল শিল্ডের। ফলে স্টেশন থেকে মহাকাশের অন্যান্য় গ্রহগুলিকে পর্যবেক্ষণে সমস্যা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে নাসা তরফে। আর এই সমস্যাটিকেই নির্মূল করতে এবার স্টেশনের বাইরে মহাকাশের শূন্যতায় পা ফেলেছেন সুনীতা। শেষবার ১২ বছর আগে মহাকাশযানের বাইরে পা ফেলেছিলেন সুনীতা উইলিয়ামস। তারপর আর স্পেসওয়াক করেননি তিনি। এদিন সুনীতার দ্বিতীয় স্পেসওয়াকের সঙ্গী হয়েছেন মহাকাশচারী বুচ উইলমোর।
উল্লেখ্য, মহাকাশ থেকে কবে সুনীতাকে পৃথিবীতে ফেরানো হবে, সেই নিয়ে কোনও দিনক্ষণ ঠিক করেনি নাসা। কিছু মাস আগেই শারীরিক অবনতি ঘটেছিল সুনীতা। মহাকাশচারির প্রাণ নিয়েও সংশয়ে পড়ে গিয়েছিল নাসা। জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই পৃথিবীর মাটিতে পা রাখবেন সুনীতা। বোয়িং স্টারলাইনের নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীতে ফিরতে দেরি হচ্ছে সুনীতার।