Khaleda Zia: আর রইল না কোনও বাধা! বাংলাদেশের নির্বাচনে দাঁড়াতে চলেছেন খালেদা জিয়া?

Avra Chattopadhyay |

Jan 16, 2025 | 6:49 PM

Khaleda Zia: গত দিন চারেক ধরে চলছিল শুনানি। এই মামলার জেরে এত কাল নির্বাচনের পথে নামতে পারেননি খালেদা। কিন্তু আপাতত আজকের রায়ের পর সরে গেল সকল বাধা।

Khaleda Zia: আর রইল না কোনও বাধা! বাংলাদেশের নির্বাচনে দাঁড়াতে চলেছেন খালেদা জিয়া?
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া
Image Credit source: Sony Ramany/NurPhoto via Getty Images

Follow Us

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় অবশেষে রেহাই পেলেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া ও তাঁর পুত্র তথা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এদিন সাজা মকুব করে দুই রাজনীতিককে খালাস করল সেদেশের শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন একটি পাঁচ সদস্য়ের বেঞ্চে রেহাই মিলল খালেদার।

গত দিন চারেক ধরে চলছিল শুনানি। এই মামলার জেরে এত কাল নির্বাচনের পথে নামতে পারেননি খালেদা। কিন্তু আপাতত আজকের রায়ের পর সরে গেল সকল বাধা। নির্দ্বিধায় নির্বাচনে লড়তে পারবেন খালেদা জিয়া, এমনটাই জানিয়ে দিলেন বিএনপির আইনজীবী ফাহিমা নাসরিন মুন্নি।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে খালেদা জিয়াকে এই মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। পরবর্তীকালে, সেই মামলাই হাইকোর্টে উঠতেই আরও পাঁচ বছর সাজার মেয়াদ বাড়ানো হয় খালেদা জিয়ার।

এরপর ২০১৯ সালের মার্চ মাসে জামিন চেয়ে আবেদন করেন খালেদা। সেই আবেদন মঞ্জুর হয় গত বছরের পালাবদলের পর। এরপর ৭ই জানুয়ারি থেকে শুরু হয় শুনানি। গতকাল, চতুর্থ দিনে এসে শেষ হয় শুনানি। আর দিন কাটতেই নিষ্পত্তি হয় মামলার। বেকসুর খালাস পান খালেদা ও তারেক।

বিএনপি প্রধানের বিরুদ্ধে চলা সকল মামলাগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। আর এবার ইউনূস আমলে সেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা থেকেও রেহাই পেলেন তিনি। ফলত, বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনে লড়াইয়ে আর কোনও বাধা রইল না খালেদার, এমনটাই জানা গিয়েছে তাঁর দল সূত্রে। অবশ্য, বাধামুক্ত হলেও তিনি আদৌ নির্বাচনে লড়বেন কি না এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানা যায়নি দল তরফে।

প্রসঙ্গত, হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের দায়ভার গিয়ে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। এদিকে, জেল থেকে মুক্তি পেয়ে চলেছেন একের পর এক বিএনপি নেতা। আর গরাদের বাইরে আসতেই দেশে নির্বাচনের দাবি তুলে আসরে নেমেছেন তারা। এমতাবস্থায় চাপ বাড়ছে অন্তর্বর্তী সরকারের। চাপ বাড়ছে ইউনূসের। আর সেই চাপেই ২০২৫ সালের শেষ ভাগে বাংলাদেশ নির্বাচনের সম্ভবনার কথা জানিয়ে দিলেন ইউনূস।

Next Article