ইসলামাবাদ: এয়ার হোস্টেস বা বিমান সেবিকাদের উর্দির নিচে অন্তর্বাস পরতেই হবে, সম্প্রতি কড়া নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তানের জাতীয় উড়ান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স বা পিআইএ। আর এই নির্দেশ আসার পরই ওয়ার পর পাকিস্তানে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। নির্দেশের কটু ভাষা নিয়ে নিন্দা করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সমালোচনার চাপে অবশেষে শুক্রবার পিআইএ এই বিষয়ে সাফাইও দিয়েছে। কিন্তু তাতেও বিতর্ক ধামাচাপা পড়ছে না।
পাকিস্তানের জাতীয় উড়ান সংস্থা তাদের বিমান সেবিকাদের জন্য অতি সম্প্রতি এক পোশাক বিধি জারি করেছিলষ তাতে বলা হয়েছিল, ইউনিফর্মের নীচে অন্তর্বাস পরা বাধ্যতামূলক। পিআইএ-র দাবি বিমান সেবিকারা যথাযথভাবে পোশাক না পরলে, সংস্থার সম্পর্কে খারাপ ধারণা তৈরি হয়, নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়। এই নির্দেশ পাক জনসাধারণ মোটেই ভালভাবে নেয়নি। অধিকাংশের মত, যে সকল শব্দ ওই নির্দেশে ব্যবহার করা হয়েছে তা অত্যন্ত ‘অনুপযুক্ত’ এবং ‘মহিলাদের অবমাননাকারী’। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়।
চাপের মুখে গত শুক্রবার পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে। জিও নিউজের প্রতিবেদনে পিআইএ-র এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “আমি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত দুঃখিত এবং আমি নিশ্চিত যে এই প্রসঙ্গে ব্যবহৃত শব্দগুলি আরও সভ্য এবং উপযুক্ত হতে পারত।” পিআইএর মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান এক লিখিত ব্যাখ্যায় দাবি করেছেন, “ওই নির্দেশের উদ্দেশ্য ছিল সঠিক পোষাক বিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা।”
এর আগে অবশ্য পিআইএ-র জেনারেল ম্যানেজার (ফ্লাইট সার্ভিসেস), আমির বশির বলেছিলেন, “দেখা গিয়েছে, একাংশের কেবিন ক্রুরা এক শহর থেকে অন্য শহরে ভ্রমণ করার সময়, হোটেলে থাকার সময় এবং বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য স্থান পরিদর্শন করার সময় যথাযথ পোশাক পরেন না। অনেক সময় উর্দির নীচে অন্তর্বাস ব্যবহার করেন না। এই ধরনের পোশাক পরা শুধুমাত্র সেই ব্যক্তি নয়, সঙ্গে সঙ্গে সংস্থার সম্পর্কেও জনমানসে একটি নেতিবাচক ছবি উপস্থাপন করে।”