ঢাকা: পদ্মাপাড়ে ঢাকা ফরিদপুর-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে আগুনে পুড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় অ্যাম্বুলেন্সের ৭ যাত্রীর। গুরুতর জখম হয়েছেন অ্যাম্বুলেন্সের চালক মৃদুল মালো। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে দুর্ঘটনার কারণ জানালেন মৃদুল মালো। ফরিদপুর-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য বেপরোয়া কতকগুলি মোটরবাইককে দায়ী করেছেন তিনি।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বছর আঠাশের মৃদুল মালোর দাবি, বেপরোয়া গতিতে আঁকা-বাঁকাভাবে চলা ৪-৫টি মোটরবাইকের জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি পুলিশকে জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে বেপরোয়া গতিতে চার-পাঁচটি মোটরবাইক আঁকা-বাঁকাভাবে যাচ্ছিল। সেগুলি সামনে চলে এলে তিনি অ্যাম্বুলেন্সের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এরপর এক্সপ্রেসওয়ের ডিভাইডার রেলিংয়ের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সেটির ধাক্কা লাগে এবং দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তবে কেবল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার জন্যই এই দুর্ঘটনা নাকি পিছন থেকে অন্য কোনও গাড়ি অ্যাম্বুলেন্সটিকে ধাক্কা মারে, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি মৃদুল মালো। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর সদর থানার ওসি এম এ জলিল।
অন্যদিকে,অ্যাম্বুলেন্স থেকে ৭ জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। নিহতদের মধ্যে ৩ মহিলা, ২ পুরুষ ও ২ শিশু রয়েছে।
ফরিদপুর সদর থানার ওসি এম এ জলিল জানান, ফরিদপুরের বোয়ালমারি থেকে রোগী নিয়ে শুক্রবার ঢাকায় এসেছিলেন অ্যাম্বুলেন্স চালক মৃদুল মালো। এদিন ফেরার সময় ঢাকার কদমতলি থেকে তিনি ওই যাত্রীদের অ্যাম্বুলেন্সে তুলেছিলেন। এরপর ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসা শেষে বেলা ১১টা নাগাদ যাত্রীদের নিয়ে ফরিদপুরে ফিরছিলেন। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মালিগ্রাম ফ্লাইওভার এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে পদ্মা সেতুর দক্ষিণ-পশ্চিমে রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে অ্যাম্বুলেন্সটিতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৭ যাত্রীর। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য ছিলেন। গুরুতর আহত হন অ্যাম্বুলেন্স চালক সহ অন্যান্য যাত্রী। তাঁদের প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় চালক মৃদুল মালোকে।