ওয়াশিংটন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে ভারত। ভারতের এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সমালোচনা কুড়িয়েছে। তবে এই বিষয়ে বারংবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত। সম্প্রতি ব্য়াংকক বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় বিদেশমন্ত্রীর কণ্ঠে আবারও এর ব্যাখ্যা শোনা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, সব দেশই নিজেদের সুবিধার কথা ভাববে। সস্তায় রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করে ভারতও সেটাই করেছেন বলে জানান তিনি। তবে আমেরিকা প্রথম থেকে ভারতের এই পদক্ষেপকে ভাল চোখে নেয়নি। এবার ভারতের এই পদক্ষেপ নিয়ে ফের একবার মন্তব্য করল আমেরিকা। রাশিয়া থেকে দূরে ভারতের বিদেশ নীতি পুনর্নির্মাণ একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তাব হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের মিত্রতা বহু দশকের। প্রতিরক্ষা খাতে সেই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে ধীরে ধীরে। ভারতের প্রতিরক্ষা খাতের প্রায় ৭০ শতাংশ সরঞ্জাম রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। ফলে রাশিয়া নির্ভরতা কাটিয়ে বিদেশনীতি পুনরায় তৈরি করতে ভারতের বেশ খানিকটা সময় লাগবে বলেই মনে করছে আমেরিকা। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘অন্য দেশের বিদেশ নীতি নিয়ে কথা বলা আমার কাজ না। কিন্তু আমি সেই বিষয়টা তুলে ধরতে পারি যেটা ভারতের থেকে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা দেখেছি রাষ্ট্রসঙ্ঘে বিশ্বের অনেক দেশ ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে নিজেদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছে। তবে আমরা বুঝি যে এটা কোনও সুইচ চালানোর মতো বিষয় না।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ‘এটি বিশেষত সেইসব দেশের জন্য যাদের ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। ভারতের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি হয়েছে। তাদের সঙ্গে বহু দশকের সম্পর্ক রাশিয়ার। ফলে রাশিয়াকে বাদ দিয়ে ভারতের বিদেশনীতি পুনর্নির্মাণ করা দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তাব হতে চলেছে।’ অর্থাৎ, প্রাইস তাঁর বক্তব্যের মাধ্য়মে বলতে চেয়েছেন, ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, এটা সুইচ না যে হঠাৎ বন্ধ করে দিয়ে ভারত রাশিয়ার বিরোধিতা করবে।