নয়া দিল্লি: খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক যত বাড়ছে, ততই অবনতি হচ্ছে ভারত-কানাডার সম্পর্কের। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই ভারতের তরফে কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে ফিরে যেতে বলা হয়। এরপরই এ দিন কানাডার তরফে ভারতের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলার জন্য আবেদন জানানো হল। কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জলি এই দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের জট কাটাতে নয়া দিল্লির সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে আলোচনা করতে চাইলেন।
কানাডার বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত সরকারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। কানাডার কূটনীতিকদের সুরক্ষাকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিই। আমরা ভারতের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা জারি রাখব কারণ আমরা মনে করি, কূটনৈতিক আলোচনা গোপনে হলেই শ্রেয়।”
মঙ্গলবারই জল্পনা শোনা যায়, ভারতের তরফে কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে দেশে ফিরে যেতে বলা হয়। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তাদের কানাডায় ফিরে যেতে বলা হয়েছে। যদি ওই সময়সীমার পরে কোনও কূটনীতিক ভারতে থেকে যান, তবে তার কূটনীতিক সুরক্ষা কেড়ে নেওয়া হবে। যদিও ভারত বা কানাডার তরফে এই বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও ঘটনা করা হয়নি।
অন্যদিকে, মঙ্গলবারই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, “ভারতের সঙ্গে সংঘাত আর বাড়াতে চাই না আমরা। কানাডা দায়িত্ব সহকারে ও গঠনমূলকভাবে নয়া দিল্লির সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় একটি গুরুদ্বারের সামনে পলাতক খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে গুলি করে খুন করে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। সম্প্রতিই কানাডার সংসদে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, “কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুতে ভারতের ভূমিকা থাকতে পারে।”
ট্রুডোর এই মন্তব্যের পরই বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ভারতের তরফে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। দুই দেশের মধ্যে উত্তর-প্রতুত্তরের পালা শুরু হয়। আপাতত কানাডার ভিসা বন্ধ করে গিয়েছে ভারত। এ দেশের এক কূটনৈতিককে বরখাস্ত করার পর কানাডারও এক রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এইসবের মাঝেই হঠাৎ সুর নরম কানাডার।